E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা ফের সোমবার

২০১৪ জুন ২৯ ১৫:৫৪:১৭
আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা ফের সোমবার


স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১৯তম ও সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা এস এম ইদ্রিস আলীকে আসামিপক্ষের জেরা অব্যাহত রয়েছে। জেরা সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

রবিবার সাক্ষী এস এম ইদ্রিস আলীকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করেন আজহারের আইনজীবী আব্দুস সোবহান। গত ১৫ জুন সাক্ষ্য দেওয়ার পর ২২ জুন তাকে জেরা শুরু করেন একই আইনজীবী। জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে এ পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ১৮ জন সাক্ষী। তাদের মধ্যে সপ্তম সাক্ষী আমিনুল ইসলামকে বৈরি ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। বাকি ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ঘটনার ১৪ সাক্ষী হলেন ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেওয়া একজন ভিকটিম, মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা, শহীদপুত্র মোখলেসার রহমান সরকার ওরফে মোখলেস আলী, মো. মেছের উদ্দিন, আব্দুর রহমান, মকবুল হোসেন, মো. মুজিবর রহমান মাস্টার, শোভা কর, রতন চন্দ্র দাস, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, রফিকুল হাসান নান্নু, রথিশ চন্দ্র ভৌমিক, এওয়াইএম মোয়াজ্জেম আলী এবং তপন কুমার অধিকারী। আর জব্দ তালিকার তিন সাক্ষী হলেন তদন্তকারী কর্মকর্তার সহকারী ও ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জুনিয়র সদস্য সজল মাহমুদ, আকরাম হোসেন এবং বাংলা একাডেমির গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া।

তাদের জেরা শেষ করেছেন আসামিপক্ষ।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম।

এর আগে ১২ নভেম্বর এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অপহরণ, গুরুতর জখম ও অগ্নিসংযোগের ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিতেও(উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি।

গত বছরের ২৯ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম। অন্যদিকে ২৪ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন আজহারের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মুনির ও ইমরান এ সিদ্দিকী।

২৫ জুলাই এটিএম আজহারুলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ১৮ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি দাখিল করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর নুরজাহান বেগম মুক্তা। ৪টি ভলিউমে ৩শ’ পৃষ্ঠায় দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আজহারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে ৯ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়।

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা এস এম ইদ্রিস আলী ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু করে গত বছরের ৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ১ বছর ৩ মাস ১১ দিনে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। মানবতাবিরোধী ৯ ধরনের অপরাধে তদন্ত চূড়ান্ত করে ৯ জুলাই প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত রিপোর্টটি দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদেশে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারের ঢাকার মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় এটিএম আজহারুল ইসলামকে। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

(ওএস/এটিআর/জুন ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test