E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাখাইন সফরে সু চি

২০১৭ নভেম্বর ০২ ১৩:৪২:৪৯
রাখাইন সফরে সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সহিংসতায় বিধ্বস্ত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে প্রথমবারের মতো সফরে গেছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার রাখাইনে যান তিনি। সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, একদিনের এই সফরে রাখাইনের দুটি শহরে যাবেন তিনি।

তবে রাখাইন সফরে যাওয়ার আগে কোনো ঘোষণা দেননি তিনি। রাখাইনের যে এলাকা থেকে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়েছে, সু চি সেরকম একটি এলাকা সফর করবেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাকাণ্ড এবং দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান না নেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে এরই মধ্যে বেশ সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সরকারের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, সু চি বর্তমানে রাখাইনের রাজধানী সিত্তেতে অবস্থান করছেন।

এরপর তিনি মংডু এবং বুথিডং সফর করবেন। এ দুটি এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখান থেকে হাজার-হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়েছে। সু চি’র সফর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি তার দফতর।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সেনাবাহিনীর দিক থেকে হুমকি আসতে পারে, এমন আশংকায় সু চি তাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে চান না।

বুধবার মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির মুখপাত্র জ্য হতেই অভিযোগ করেন, রাখাইন প্রদেশ থেকে যে লক্ষ লক্ষ মুসলিম গত দু’মাসে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে গেছেন, তাদের প্রত্যাবাসনের কাজে বাংলাদেশের জন্যই দেরি হচ্ছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারকে তিনি বলেন, যে কোনো সময় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত মিয়ানমার। তবে রোহিঙ্গাদের ফেরতের এই প্রক্রিয়া হবে ১৯৯০ সালের চুক্তির ভিত্তিতে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেই চুক্তির শর্তাবলী এখনো উপেক্ষা করছে।

রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার কার্যালয় সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জ্য হতেই বলেন, ‘আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত, কিন্তু অন্যপক্ষ এখনো শর্তাবলী মেনে নেয়নি এবং ফেরতের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এটাই হচ্ছে প্রথম সত্য।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থ দিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশাল আশ্রয়শিবির তৈরির পরিকল্পনার কারণেই বাংলাদেশ বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেন জ্য হতেই।

সু চির এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে তারা ৪০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এই অর্থ পাওয়ায় আমরা এখন শরাণার্থী প্রত্যবাসন কর্মসূচি বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কায় আছি। তিনি বলেন, ‘তারা আন্তর্জাতিক ভর্তুকি পেয়েছে। আমরা এখন শঙ্কিত যে, তারা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে অন্য চিন্তা করতে পারে।’

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test