E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রত্যাবাসনের জন্য মাত্র ৩৭৪ জনকে খুঁজে পেয়েছে মিয়ানমার

২০১৮ মার্চ ১৫ ১৩:৩১:২৮
প্রত্যাবাসনের জন্য মাত্র ৩৭৪ জনকে খুঁজে পেয়েছে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনের জন্য মাত্র ৩৭৪ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে যাচাই করতে পেরেছে মিয়ানমার। বুধবার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করছে না বাংলাদেশ। খবর রয়টার্স।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনের বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ আগস্ট থেকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।

অভিযানের নামে ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন চালায়। সেনাবাহিনীর বর্বরতা থেকে বাঁচতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

তবে এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কিছু করতে পারেননি। বরং সেনাবাহিনীর পক্ষে থেকেই বার বার তিনি ওই অঞ্চলে দমন-পীড়নের কথা অস্বীকার করেছেন।

গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দু’মাসের মধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতী নেই।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার কাগজপত্র পরীক্ষা করেছেন কর্মকর্তারা। এই ৮ হাজার ৩২ জনের মধ্যে মাত্র ৩৭৪ জনের বিষয় যাচাই করে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। প্রথম দফায় প্রত্যাবাসনে এই ৩৭৪ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সুবিধাজনক সময়ে ৩৭৪ রোহিঙ্গা দেশে ফিরতে পারবেন। তবে এই ৩৭৪ জন দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক কিনা তা এখনও পরিস্কার নয়। তাছাড়া বাকি সাত হাজার ৬৫৮ জন রোহিঙ্গা আদৌ কখনো রাখাইনের বাসিন্দা ছিল কি না সে বিষয়ে মিয়ানমার নিশ্চিত নয়।

মিয়ানমার থেকে আরও যারা পালিয়ে এসেছেন তাদের প্রত্যাবাসনে কি করা হবে সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া হয়নি। তবে মিন্ট থু বলেছেন, অনেকের ক্ষেত্রেই আঙুলের ছাপ ও ছবি যুক্ত করা হয়নি। সে কারণে তাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইন তুন বলেন, এসব নথিপত্র আমাদের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়নি। বাংলাদেশের প্রস্তাবিত প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে তিনজন সন্ত্রাসী রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সদিচ্ছার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test