E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখীর তান্ডব, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

২০১৮ এপ্রিল ১৮ ১৬:৪৯:৫১
পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখীর তান্ডব, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে দু’দফায় প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। এর মধ্যে কোলকাতাতেই মারা গেছে সাত জন। এছাড়া হাওড়া, বাঁকুড়া ও হুগলিতে মৃত্যু হয়েছে অন্য সাত জনের।

আলীপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৩ মিনিটের ব্যবধানে মহানগরের উপর দিয়ে বয়ে যায় দু’টি ঝড়। প্রথমটি আসে ৭.৪২ মিনিটে। তার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৪ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি ৭.৫৫ মিনিটে, ৯৮ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে।

ঝড়ের দাপটে লেনিন সরণী, মৌলালি, পোস্তা, বেহালা, বড়বাজার ও সাদার্ন অ্যাভিনিউ ও সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় বহু গাছ ভেঙে পড়ে। গাছ ভেঙে পড়ে জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এমনকি, বাড়ি, বাস-ট্যাক্সি-অটোর উপরে গাছ পড়েছে।

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় ওভারহেড তার ছিঁড়ে বন্ধ হয়ে ‌যায় ‌ট্রেন চলাচল। দমদমে মেট্রো রেলের লাইনে গাছ পড়ে ‌যায়। ফলে গিরিশ পার্ক থেকে কবি সুভাষ প‌র্যন্ত মেট্রো চালানো হয়।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য, বিগত ৭২ বছরের মধ্যে এমন জোরালো কালবৈশাখী মহানগরে হয়নি। নয় বছর আগের সেই বিধ্বংসী আয়লার পর সাম্প্রতিককালে কোনো ঝড়েরই এমন তাণ্ডব দেখা যায়নি।

আলীপুর আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, দ্বিতীয় ঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ স্থায়ী হয়েছিল মাত্র এক মিনিট। ২০০৯ সালে আয়লায় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৩ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ফলে ঝড় আরও কিছু ক্ষণ থাকলে আরও ভয়াবহ হতে পারত পরিস্থিতি।

বুধবারের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাতেই মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। পুরসভা ও পুলিশকেও রাস্তায় থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test