E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেয়ার দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের

২০১৮ মে ০১ ১৫:৪৫:৩৩
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেয়ার দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে যদি কেউ নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য থাকে, তাহলে সেটি অবশ্যই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে যাওয়া উচিত। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মু জ্য ইন এ মন্তব্য করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও সরকারি দফতর ব্লু হাউস বলছে, মুন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। আমাদের সবার দরকার শান্তি স্থাপন করা।’

দক্ষিণ কোরিয়ার ইংরেজি দৈনিক দ্য কোরিয়া টাইমস বলছে, উ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জ্য ইনের ঐতিহাসিক বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জুংয়ের স্ত্রী লি হি হো।

দক্ষিণের সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার জবাবে মুন জ্য ইন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নোবেল দেয়ার দাবি তুলেছেন। ‘মুনকে সম্মানজনক পুরস্কার দেয়া উচিত’- বলে লি মন্তব্য করলেও দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘পুরস্কার ট্রাম্পের প্রাপ্য।’

লির প্রয়াত স্বামী কিম দায়ে জুং ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনিই শান্তিতে দেশটির একমাত্র নোবেল পুরস্কার জয়ী। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ২০০০ সালে ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর তিনি ওই পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিম জং উনের প্রয়াত বাবা তৎকালীন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কিম দায়ে জুং।

এদিকে, ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার দাবি উঠেছে খোদ ওয়াশিংটনেও। গত শনিবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এক সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় কোরীয় ইস্যুতে তার বক্তৃতার মাঝে অনেকেই নোবেল, নোবেল বলে স্লোগান দেন।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বহুল প্রতিক্ষীত বৈঠকে বসবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় তিনি কিমের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সম্ভাব্য স্থান হিসেবে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী যুদ্ধবিরতি গ্রাম পানমুনজমের পিস হাউসের কথা বলেছেন। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দেশের নাম ওই বৈঠকের নির্ধরিত স্থানের তালিকায় আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর গত ২৭ এপ্রিল পানমুনজম সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমবারের মতো দ. কোরিয়ায় যান কিম জং উন। সেখানে পৌঁছে তিনি দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মু জ্য ইনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কিম রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন। সূত্র : ইউএসএ ট্যুডে।

(ওএস/এসপি/মে ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test