E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ভারতে এবার আইন ভঙ্গকারীরাই হতে যাচ্ছেন আইনপ্রণেতা

২০১৪ এপ্রিল ১৪ ১১:১১:২৫
ভারতে এবার আইন ভঙ্গকারীরাই হতে যাচ্ছেন আইনপ্রণেতা

আন্তজার্তিক ডেস্ক : ভারতে এবার আইন ভঙ্গকারীরাই হতে যাচ্ছেন আইনপ্রণেতা। কারণ এবার লোকসভা নির্বাচনে কমপক্ষে ১২০ আসনে অপরাধীদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, দুর্নীতি, করফাঁকি, কালোটাকা, মাফিয়াদের সঙ্গে সংযুক্তিসহ নানা অপরাধে মামলা রয়েছে। এমনকি কারও কারও বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি খুনের অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এনডিএ-র ৩৭ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে। কংগ্রেসের এ সংখ্যা ১৭। লালুপ্রসাদের দলের ৪০ শতাংশই অপরাধী। মায়াবতীর দলের এক-তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আসামের পাঁচটি এবং ত্রিপুরার এক আসনে যত প্রার্থী হয়েছেন, তার মধ্যেও ছজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। ১৭ জন কোটিপতি প্রার্থী।

১৯৯৭ সালে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জিভিজি কৃষ্ণমূর্তি একটি তথ্য প্রকাশ করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন। তার তথ্য অনুযায়ী সে বছর দেড় হাজার প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, ধর্ষণ, লুট করার অভিযোগ ছিল। এই প্রার্থীদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ৫২০ জন গ্যাং অফ ওয়াসিপুর-এর সদস্য বা ডন অথবা দাবাং প্রার্থী ছিলেন। দ্বিতীয় তালিকায় নাম বিহারের। একাদশ লোকসভায় ৪০ জন জিতে বহু আইনপ্রণয়ন করেছেন। দেশের ৪ হাজার ৭২২ বিধায়কের মধ্যে ৭০০ জনেরই নাম ছিল অপরাধীদের তালিকায়।

২০১৪ ব্যতিক্রম নয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে এক-পঞ্চমাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। যে দল ভারতে দুর্নীতি দমনে জেহাদ ঘোষণা করেছে, সেই বিজেপিরই অপরাধী প্রার্থীর সংখ্যা সর্বাধিক। আর যারা দেশে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর, আম আদমি পার্টিও পুরাতন সংস্কৃতির বাইরে যেতে পারেনি। তাদের দলের ১৭ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। সেসবও যেমন-তেমন অপরাধী নয়। রাজধানী দিল্লিতেই ২৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের ওপর জেল হবে।

১৯৯৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে বিশেষ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। ২০০২ সালে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার হলফনামা দেয়া বাধ্যতামূলক করে। তখন নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব দিয়েছিল কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুটি জঘন্য অপরাধের অভিযোগ থাকলে, তাকে মনোনয়ন না দেয়া। কিন্তু দেশের সব রাজনৈতিক দল একত্রে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test