E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সাজা বহাল

২০১৯ জানুয়ারি ১১ ১৬:৪৮:৫৭
মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সাজা বহাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেপ্তার রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সাত বছরের সাজার রায় বহাল রেখেছে দেশটির আপিল আদালত।

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত করে গতবছর সেপ্টেম্বরে সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওরকে (২৮) ওই সাজা দেন একজন জেলা জজ।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিকের আপিল আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে মিয়ানমারের হাই কোর্ট।

বিচারক অং নাইং তার রায়ে বলেছেন, আসামিরা নির্দোষ- এমন দাবির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ তারা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।

“এটা তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি। দুই সাংবাদিক সাংবাদিকতার নৈতিকতা মেনে চলেননি। তাদের ফাঁদে ফেলে গ্রেপ্তার করার যে অভিযোগ আসামিপক্ষ করেছে, সে বিষয়েও আদালত নিশ্চিত হতে পারেনি।”

এই রায়ের বিরুদ্ধে এখন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। সেখানে যে রায় আসবে, সেটাই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

গত সেপ্টেম্বরে জজ আদালতে দুই সাংবাদিকের সাজার রায়ের পর বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন মিয়ানমারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

শুক্রবারের রায়ের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টেফেন এক বিবৃতিতে বলেন, “ওয়া লোন ও কিয়াও সো ওর উপর যেসব নিপীড়ন চালোনে হচ্ছে আজকের রায় সেসব অন্যায়ের একটি। তারা এখনও গরাদের পেছনে থাকার একটাই কারণ: যারা ক্ষমতায় আছে তারা সত্যের মুখ বন্ধ করতে চাইছে।”

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “সংবাদ সংগ্রহ করা অপরাধ নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত মিয়ানমার এই ভয়ঙ্কর ভুল শুধরে না নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটিতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা আসবে না। মিয়ানমার আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র চর্চার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা নিয়েও সন্দেহ থেকে যাবে।”
গত মাসে আপিল আবেদনের শুনানিতে দুই সংবাদিকের আইনজীবীরা তাদের কাছে পুলিশের ফাঁদ পাতার প্রমাণ থাকার এবং তাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে অপরাধের পর্যপ্ত প্রমাণ না থাকার দাবি করেন।

‘নিম্মআদালত এই মামলা ভুলভাবে উপস্থাপন করে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের দায় দুই সাংবাদিকের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তারা।

বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং তা মিয়ানমারের শত্রুদের কাছে পাচার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলার অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।”

সরকার পক্ষে আইনজীবী খিনে খিনে সোয়ে বলেন, আপিলের শুনানির সময় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গোপন নথি সংগ্রহ এবং তা নিজেদের কাছে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

“জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।”

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test