E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিদেশি গণমাধ্যমের খবরে ধর্ষক হত্যাকারী ‘হারকিউলিস’

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৪:৩১:৫৩
বিদেশি গণমাধ্যমের খবরে ধর্ষক হত্যাকারী ‘হারকিউলিস’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিক পুরানের বীর হারকিউলিসের নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশে সন্দেহভাজন ধর্ষকদের হত্যার ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন, কে এই হারকিউলিস; যারা ধর্ষকদের হত্যার পর গলায় চিরকুট ঝুলিয়ে রাখছে। যেখানে লেখা হচ্ছে, ‘ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।’

বাংলাদেশে হঠাৎ ধর্ষকদের হত্যায় হারকিউলিসের উত্থান নিয়ে জনমনে যখন প্রশ্ন; ঠিক সেই সময় দেশের বাইরের গণমাধ্যমেও আলোচিত হচ্ছে হারকিউলিস নিয়ে। পুলিশ এই হারকিউলিসের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

গত শুক্রবার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় গলায় চিরকুট ঝোলানো এক সন্দেহভাজন ধর্ষণকারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ ধরণের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। ঝালকাঠিতে নিহত ধর্ষকের গলায় ঝোলানো চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার...ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।’

ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টেটসম্যান এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, হারকিউলিসের নামে অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলার বাংলাদেশের পুলিশকে ব্যস্ত রেখেছে। গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে অন্তত তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে; যাদের সবাই অভিযুক্ত ধর্ষক। এই ধর্ষকদের হত্যার পর তাদের গলায় চিরকুট লিখে রেখেছে।

শুক্রবার রাজাপুরে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যার গলায় কাগজে লেখা ছিল, ‘আমি রাকিব, আমি ভাণ্ডারিয়ার মাদরাসা ছাত্রীর... ধর্ষক। ইহাই একজন ধর্ষকের পরিণতি। ধর্ষকরা সাবধান...হারকিউলিস।’

নিহত যুবকের নাম রাকিব হোসাইন (২০)। ভাণ্ডারিয়ায় মাদরাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলার আসামি ছিলেন তিনি। নিহত রাকিবের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

ভারতীয় অপর প্রভাবশালী দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ‘বাংলাদেশে গণর্ধষণে অভিযুক্তদের হত্যা করছে হারকিউলিস; তিনজন খুন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত তিন ধর্ষককে হত্যার পর গলায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে চিরকুট।

ভাণ্ডারিয়ায় সন্দেহভাজন ধর্ষক রাকিকে হত্যার পর তার গলায় চিরকুটে ধর্ষণের পরিণতি এটাই বলে লিখে রাখা হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে তিনজন ধর্ষকের মরদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ; যাদের গলায় চিরকুট ঝোলানো ছিল।

এর আগে গত ৩৬ জানুয়ারি পুলিশ ঝালকাঠির বোলতলায় সজল জমাদ্দার নামে এক ধর্ষকের মরদেহ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। তার গলায়ও চিরকুটে লেখা ছিল, আমি সজল। আমি ...এর ধর্ষক। এটাই আমার শাস্তি। সজল এবং রাকিব দু’জনই একই ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন।

গত ১৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আমিন মডেল টাউনে রিপন নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায়ও চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি একটি ধর্ষণ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন।’ গার্মেন্টসের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের মূলহোতা ছিলে রিপন। ধর্ষণের শিকার ওই গার্মেন্টস কর্মী ৮ জানুয়ারি মারা যান।

(ওএস/অ/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test