E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ব্রিটেনে একরাতে পাঁচ মসজিদে হামলা, ভাঙচুর

২০১৯ মার্চ ২১ ১৭:২৪:১৬
ব্রিটেনে একরাতে পাঁচ মসজিদে হামলা, ভাঙচুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে পাঁচটি মসজিদে হাতুড়ি হামলা হয়েছে। মসজিদে হাতুড়ি নিয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে মসজিদে জানালা, দরজা ভাঙচুর করেছে অস্ত্রধারী অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

বুধবার গভীর রাতের এসব হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বার্মিংহামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে। তারা শুক্রবারের জুমআর নামাজের সময় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দেশটির পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ বলছে, রাতে মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের এসব ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলছে, রাতে উইটনের উইটন ইসলামিক সেন্টারে হামলা চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে মসজিদের সাতটি জানালা ও দুটি দরজা ভাঙচুর করা হয়।

মসজিদের ইমাম বলছেন, রাত দেড়টা থেকে ২ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশ বলছে, রাতে তারা হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তবে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

উইটন রোডের ব্রোডওয়ে, স্লেড রোডের কাছে একটি মসজিদে হামলা হয়েছে রাত ২টা ৩২ মিনিটের দিকে। রাত ৩টা ১৪ মিনিটের দিকে আর্ডিংটনের একটি মসজিদে হামলার খবর আসে পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছে টহল শুরু করে।

এছাড়া উইটন রোডের অ্যাস্টন ও পেরি বারের ব্রোডওয়েতেও মসজিদে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। ফরেনসিক কর্মকর্তারা এসব হামলার ঘটনায় আলামত সংগ্রহ ও সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছেন। ব্রোমফর্ড অ্যান্ড হজ হিল ওয়ার্ডের লেবার দলীয় কাউন্সিলর মজিদ মাহমুদ অনলাইনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের ছবি পোস্ট করেছেন।

টুইটারে তিনি বলেছেন, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গভীর রাতে উইটন রোড ইসলামিক সেন্টার আক্রান্ত হয়েছে। এই সেন্টারের জানালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্ত।

তিনি বলেন, আমি গত সপ্তাহে বলেছি যে, ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিমরা আতঙ্কিত। আমাদের সহায়তা দরকার। তার কথার সুর শোনা গেল উইটন ইসলামিক সেন্টারের ইমাম শারাফাত আলীর কণ্ঠে। ৬৬ বছর বয়সী এই ইমাম বলেন, এটা অত্যন্ত ভয়াবহ। মুসলিম সম্প্রদায়ের আতঙ্কের মধ্যে আছে।

শারাফাত আলী বলেন, আমরা এখানে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছি। প্রত্যেকদিন সকালে অন্তত ৪০ জন মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করেন। শুক্রবার এই সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ ছাড়িয়ে যায়। তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবার জুমআর নামাজ। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, কেন এসব ঘটছে। আমাদের আরো নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

বার্মিংহামের লেডিউডের লেবার দলীয় এমপি শাবানা মাহমুদ টুইটারে বলেছেন, বার্মিংহামজুড়ে মসজিদে হামলার যে খবর আসছে তা সত্যিই ভয়ানক। আমি পুলিশের প্রধান কনস্টেবলের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া মুসলিম নেতার সেঙ্গ দিনে আলোচনা করবো। আমি সকল বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test