E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডাকে হত্যার হুমকি

২০১৯ মার্চ ২২ ১৬:০৪:১০
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডাকে হত্যার হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিক মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে দেশটির পুলিশ। টুইটারে 'ইউ আর নেক্সট' লেখা ক্যাপশনসহ একটি বন্দুকের ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে জেসিন্ডাকে।

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ওই পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করায় যে ওই পোস্ট দিয়েছেন তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় আগে এটি পোস্ট করা হয়েছিল।

'নেক্সট ইট'স ইউ' লেখা এ ধরনের আরও একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা এবং নিউজিল্যান্ডের পুলিশকে ট্যাগ করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া টুইটার অ্যাকাউন্টে মুসলিমবিরোধী বিভিন্ন বিষয় ছিল এবং সেখানে হোয়াইট সুপ্রিমেসি বা শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ঘৃণামূলক বিবৃতিও ছিল।

এক বিবৃতিতে পুলিশের মুখপাত্র বলেন, টুইটারে যে মন্তব্য করা হয়েছে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে পুলিশ এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনার পর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি প্রকাশ করায় জেসিন্ডাকে এমন হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শুক্রবারের হামলার এক সপ্তাহ পর আজ স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে আজান এবং জুমার নামাজ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এর পরেই ১টা ৪৮ মিনিটের দিকে জেসিন্ডাকে হত্যার হুমকির খবর সামনে আসে।

তবে সামাজিক মাধ্যম টুইটার ব্যবহার করে এ ধরনের পোস্ট করায় টুইটারের সমালোচনা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন এ ধরনের বর্ণবাদী এবং সহিংস বার্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না টুইটার। এর আগে ক্রাস্টচার্চে হামলার ঘটনা লাইভ করেছিল ২৮ বছর বয়সী হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।

ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনা ফেসবুকে প্রায় ১৭ মিনিট লাইভ করা হয়। এই ঘটনাতে ফেসবুকের বিরুদ্ধেও সমালোচনা হয়েছে। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তা ফেসবুক থেকে সরানো হয়নি। ফলে ওই লাইভ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং অনেকেই তা শেয়ার করেছেন।

তবে ফেসবুকের তরফ থেকে বলা হয়েছে দুইশো জনেরও কম মানুষ ওই লাইভ দেখতে সক্ষম হয়েছেন। আর লাইভের প্রায় ১২ মিনিট পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কেউ রিপোর্টও করেনি। পরে অবশ্য ফেসবুক ওই লাইভটি সরিয়ে নিয়েছে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test