E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিক্ষোভের দোষ জিম্বাবুয়ের ঘাড়ে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব

২০২০ জুন ০২ ১০:৩৪:৪৭
বিক্ষোভের দোষ জিম্বাবুয়ের ঘাড়ে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত কয়েকদিন থেকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের জেরে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। দিন যত যাচ্ছে সেখানে বিক্ষোভের আগুনও ততই বাড়ছে। তবে এর জন্য সামাজিক বৈষম্য নয়, বরং দোষটা জিম্বাবুয়ে ও চীনের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। এর প্রতিবাদে জিম্বাবুয়েতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দেশটির সরকার।

গত রবিবার এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন জিম্বাবুয়ে ও চীনকে ‘বিদেশি প্রতিপক্ষ’ উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি এবং ‘বিভেদের বীজ বপন’ করার অভিযোগ তোলেন। তবে এ বিষয়ে সেদিন তিনি কোনও তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

সোমবার জিম্বাবুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেমস মানজু জানিয়েছেন, রবার্ট ও’ব্রায়েনের বক্তব্যের ব্যাখ্য দিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রায়ান নিকোলানকে তলব করা হয়েছে।

গত মাসে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারানোর পর থেকেই এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তত ২৫টি শহরে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভ দমাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হয়েছে তার সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের বাইরেও।

তবে ট্রাম্প প্রশাসন বর্ণবাদী বৈষম্যের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভকে বিদেশিদের কারসাজি বলে দাবি করছে। ‘বিদেশি প্রতিপক্ষরা’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার করে উস্কানি দিচ্ছে কি না তা তদন্ত করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। আর প্রথম ধাপে এর কোপ এসে পড়েছে চীন ও জিম্বাবুয়ের ঘাড়ে।

তবে জিম্বাবুয়ে সরকারের মুখপাত্র নিক মাঙ্গোয়ানা বলেছেন, তাদের দেশ নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ ভাবছে না।

রোববার এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য যেকোনও জাতির সঙ্গে অসহিষ্ণু প্রতিকূলতার চেয়ে বন্ধু ও মিত্র হিসেবে থাকতে পছন্দ করি।’

যুক্তরাষ্ট্র-জিম্বাবুয়ের সম্পর্কের অবনতির শুরু মূলত ২০০২ সালের দিকে। সেই সময় সাবেক জিম্বাবুইয়ান প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। চলতি বছরের মার্চে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়ার আবারও বাড়ানো হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মুগাবের উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট এমারসন মানগাগোয়া জিম্বাবুয়ে সরকার পুনর্গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ২০১৭ সালে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন তিনি।

এমারসনসহ অন্তত ৮০ জিম্বাবুইয়ানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে তারা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ, এমনকি মার্কিন ব্যাংকে অ্যাকাউন্টও খুলতে পারবেন না। আল জাজিরা।

(ওএস/এসপি/জুন ০২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test