E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাণিজ্যচুক্তি বাতিল নয়, থাকবে নিষেধাজ্ঞাও : চীন প্রসঙ্গে বাইডেন

২০২০ ডিসেম্বর ০২ ১৮:২৮:২৮
বাণিজ্যচুক্তি বাতিল নয়, থাকবে নিষেধাজ্ঞাও : চীন প্রসঙ্গে বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন সরকার ক্ষমতায় আসলে চীন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কী হবে, তা নিয়ে মুখ খুললেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলতি বছরের শুরুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া প্রথম ধাপের বাণিজ্যচুক্তি বাতিল হবে না, ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলোও আপাতত তুলে নেয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

জনপ্রিয় কলামিস্ট থমাস ফ্রায়েডম্যানের সঙ্গে আলাপকালে জো বাইডেনের কাছে নতুন প্রশাসনের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে বাইডেন বলেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কংগ্রেসে একটি উদার প্রণোদনা প্যাকেজ পাস করানোই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি, ক্ষমতায় বসার আগেই এটি পেতে আগ্রহী তিনি।

চলতি সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বেইজিংয়ের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন যেন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়, তেমন ব্যবস্থা করে রেখে যেতে চান বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করতে পারে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট।

তবে নিউইয়র্ক টাইমসকে জো বাইডেন বলেছেন, আমি তাৎক্ষণিক কোনও পদক্ষেপ নেব না। সেটা শুল্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আমি কৌশলগুলো সংস্কারে যাব না।

তবে চীনের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরি, প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ ভর্তুকি, মার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকে চীনা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি স্থানান্তরে বাধ্য করার মতো আপত্তিকর কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে লড়তে গবেষণা, উন্নয়ন, অবকাঠামো ও শিক্ষা খাতে সরকারি বিনিয়োগে নজর এবং দেশের ভেতর দ্বিপক্ষীয় ঐকমত্য আবশ্যক বলেও মন্তব্য করেন জো বাইডেন।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি নিয়ে কঠিনভাবে লড়ব।

এ ডেমোক্র্যাট নেতার কথায়, ‘চীন বিষযে সেরা নীতি হচ্ছে, আমাদের সব মিত্র- অন্তত যারা একসময়ে ছিল- তাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া।’

প্রায় দুই বছর তুমুল বাণিজ্যযুদ্ধের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম ধাপের চুক্তিতে সই করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এ চুক্তিতে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন শুল্ক অর্ধেক করতে সম্মত হয়।

তবে কিছুদিন পরেই করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় চুক্তি বাস্তবায়ন থমকে যায়। এর মধ্যেই নতুন করে প্রযুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে প্রথম ধাপের ওই বাণিজ্যচুক্তির ভবিষ্যৎ।

এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমসের সাক্ষাৎকারে ইরানের বিষয়ে কী নীতি আসতে পারে জানতে চাইলে জো বাইডেন জানান, তেহরান যদি কঠোরভাবে পরমাণু চুক্তি মেনে চলে, তাহলেই তার প্রশাসন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।

তিনি বলেন, আমাদের সহযোগী ও অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ইরানের পারমাণবিক সীমাবদ্ধতা আরও শক্তিশালী ও দীর্ঘায়িত করতে আলোচনায় নামব এবং চুক্তি অনুসরণ করব। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্যেও একই ব্যবস্থা হবে। রয়টার্স।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test