E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইন্দোনেশিয়া-পূর্ব তিমুরে বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫

২০২১ এপ্রিল ০৫ ১৪:৩৪:৫৩
ইন্দোনেশিয়া-পূর্ব তিমুরে বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়া ও এর প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৫ ছাড়িয়েছে। খবর এএফপির।

মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরস দ্বীপপুঞ্জ থেকে পূর্ব তিমুর পর্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেঁড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে হাজার হাজার বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। আটকে পড়া ব্যক্তিদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বলেন, ‘৫৫ জন মারা গেছেন। কিন্তু সংখ্যাটি খুবই পরিবর্তনশীল এবং অবশ্যই পরিবর্তন হবে। এছাড়া ৪২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।’

এদিকে, পূর্ব তিমুরে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুদ্র এই দ্বীপটির অবস্থান ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝখানে। বন্যায় দেশটির রাজধানী দিলি ডুবে গেছে। অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে দিলিতে।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব ফ্লোরসের নগরে ঘরবাড়ি, সেতু ও রাস্তা কাদায় ঢেকে গেছে। জাতি বলেন, ‘কাদা ও চরম আবহাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের কারণে খোঁজাখুঁজি ও উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে।’

ভীতসন্ত্রস্ত অধিবাসীরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জড়ো হয়েছেন আবার কেউ কেউ বাড়ির যে অক্ষত জায়গা ছিল সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

পূর্ব ফ্লোরসের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান আলফন্স হেদা বেথান বলেন, ‘বাস্তুচ্যুতরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। প্রতিটি উপজেলায় শত শত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ রয়েছেন কিন্তু অনেকে বাড়িতেই অবস্থান করছেন।’ তিনি বলেন, ‘তাদের ওষুধ, খাদ্য ও কম্বল প্রয়োজন।’

বেথান আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা অনেক লোক মাটিচাপা পড়েছেন তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা এখনো পরিষ্কার নয়।’

ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষাকালে মারাত্মক ভূমিধস ও বন্যার ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এ বছরের জানুয়ারিতে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সুমেদাং-এ আকস্মিক বন্যায় ৪০ জন নিহত হয়েছিলেন।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test