E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

করোনা চিকিৎসায় নতুন ওষুধের অনুমোদন, মিলছে বাংলাদেশেও

২০২২ জানুয়ারি ১৪ ১৮:০৩:৪১
করোনা চিকিৎসায় নতুন ওষুধের অনুমোদন, মিলছে বাংলাদেশেও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোভিড-১৯ সারাতে আরও দুটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর একটির নাম ব্যারিসিটিনিব, যা মূলত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধটি মার্কিন ফার্মা জয়ান্ট এলি লিলির তৈরি হলেও বাংলাদেশ ও ভারতে এর জেনেরিক সংস্করণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ দেশের বাজারে তুলনামূলক কম খরচেই ব্যারিসিটিনিব পাওয়া যাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে, গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ব্যারিসিটিনিব ব্যবহারে ‘জোরালো সুপারিশ’ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তবে এর সঙ্গে কর্টিকোস্টেরয়েডের মিশ্রণ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

প্যানেল বলেছে, ওষুধটি ভেন্টিলেশনের প্রয়োজনীয়তা কমায় এবং করোনা রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বাড়ার কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি।

এদিন ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞরা শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষামূলক মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় সট্রোভিম্যাব ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে। যেসব করোনা রোগীর অবস্থা গুরুতর নয়, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর প্রস্তুতকারক গ্লাক্সো স্মিথ ক্লাইন।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, নতুন এসব নির্দেশনা গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ইন্টারলিউকিন-৬ রিসেপ্টর ব্লকার ও সিস্টেমিক কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহারে আগের সুপারিশ এবং নির্বাচিত রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব (আরেকটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চিকিৎসা) ব্যবহারের শর্তসাপেক্ষ সুপারিশের সঙ্গে যোগ হয়েছে।

ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং অধিক সংখ্যক মানুষের চিকিৎসার জন্য দ্রুততম সময়ে ওষুধগুলোর প্যাটেন্ট নিশ্চিত করতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জনিয়েছে।

সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতে ব্যারিসিটিনিবের জেনেরিক সংস্করণ সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি ব্রাজিল-ইন্দোনেশিয়ার মতো আরও অনেক দেশে এর প্যাটেন্ট কার্যকর রয়েছে।

এর আগে, বাংলাদেশসহ ৯৫টি দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে নিজেদের তৈরি করোনার ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ফাইজার। এ বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘ সমর্থিত গ্রপ মেডিসিনস প্যাটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে চুক্তি হয় মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্টদের। এতে নির্ধারিত দেশগুলোর ওষুধ নির্মাতারা ফাইজারের তৈরি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড উৎপাদনের লাইসেন্স পেয়েছে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তাদের ওষুধ কোভিড-১৯ সারাতে ৮৯ শতাংশ কার্যকর।

তারও আগে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ এমপিপির সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির আওতায় মার্কের তৈরি করোনার ওষুধ মলনুপিরাভির তৈরির লাইসেন্স পেয়েছিল বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test