E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাক্ষী না আসায় পেছাল পি কে হালদারের শুনানি

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৯:২৬:২৮
সাক্ষী না আসায় পেছাল পি কে হালদারের শুনানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বন্দি পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও এদিন সাক্ষীর অভাবে শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। কিন্তু সাক্ষী না আসায় বিচারক শুভেন্দু সাহা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

এদিন ইডির পক্ষ থেকে আদালতে সাক্ষী হাজির থাকার কথা ছিল। কিন্তু আদালত শুরুর সময় সাক্ষী অনুপস্থিত থাকার কারণেই শুনানির দিন পিছিয়ে দেন বিচারক।

পাশাপাশি নতুন করে প্রাণেশ কুমার হালদারের (প্রশান্তের ভাই) জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। সেই বিষয়টিও আগামী তারিখে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

এছাড়া আর এক অভিযুক্ত আমানা সুলতানের (প্রশান্তের বান্ধবী) শারীরিক অবস্থার বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী বিশ্বজিৎ।

তিনি বলেছেন, সম্প্রতি তার সার্জারি হয়েছে। কিন্তু তার মেডিকেল রিপোর্ট আমাদের জানানো হয়নি। তা পাওয়ার জন্য বিচারক শুভেন্দু সাহার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বৈদিক ভিলেজে (তার নিজস্ব বাড়ি) পাঠানোর জন্য আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে। সব বিষয়গুলো পরবর্তী শুনানিতে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।

অভিযুক্তদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না বলেছেন, শনিবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজ রেগুলার কোর্ট ছিল না। স্পেশাল শুনানি ছিল। কিন্তু পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারক। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আবার দিন পড়েছে।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের যে আবেদন করা হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে তার বিরোধিতা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের যে মামলা করা হয়েছে সেটিতেও ইডি আপত্তি জানায়। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এ ইস্যুগুলোর শুনানি হবে এবং তার পরেই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে সেখানেই বন্দি রয়েছেন হালদাররা। তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। বর্তমানে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test