E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশের রায়ের কপি ভারত না পেলে এগোবে না পিকের মামলা

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৬:২৩:০৬
বাংলাদেশের রায়ের কপি ভারত না পেলে এগোবে না পিকের মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বন্দি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারদের মামলার শুনানি ফের পেছালো। পিকের আইনজীবী মিলন মুখার্জি অনুপস্থিত থাকার কারণে হালদারদের পরবর্তী শুনানি ১৫ মার্চ ধার্য করেছে, সিবিআই -১ কক্ষের বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পিকে সহ ৬ অভিযুক্তদের কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নির্দিষ্ট সময় তোলা হয়। বিচারক ও ইডির আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মিলন মুখার্জী আদালত কক্ষে উপস্থিত হতে পারেননি। পরে মিলনের সহকারী আইনজীবী বিশ্বজিত মান্না বিচারকে পরবর্তীত দিনের অনুরোধ করে। সবশুনে বিচারক ১৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

যদিও ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, অভিযুক্তর আইনজীবীর অনুপস্থিতের চেয়ে বড় বিষয় হলো, এ মামলার গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে বাংলাদেশের রায়ের কপির উপরে। যতদিন তা ভারতের আদলতে না আসছে ততদিন মমলা বিলম্ব হতেই থাকবে।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে মামলার অর্ডার হয়েছে। কিন্তু, রায়ের আনুষ্ঠানিক (ডিক্রি কপি) সিদ্ধান্ত হয়নি। যে কারণে, কলকাতায় বিলম্ব হচ্ছে পিকের আনুষ্ঠানি বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে। মূলত, ডিক্রি কপির উপরই আসামিকে সাজা দেওয়া হয়ে থাকে। ওই নথি না থাকলে আসামিকে সাজা দেওয়া যায় না। সেই ডিক্রি কপি বাংলাদেশে হয়নি। এবং সে কারণে কপির প্রতিলিপি ভারতে এসে পৌছায়নি। যা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

কিন্তু পিকে গ্রেপ্তার হয়েছে ভারতীয় তদন্তকারীর হাতে। হালদাররা বন্দি আছেন ভারতে জেল হেফাজতে। তাহলে বাংলাদেশের রায়ের ওপর কেন নির্ভর করতে হচ্ছ? উত্তরে অরিজিত বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে 'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবং আদালতে প্রমাণিত সে অর্থ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আনা হয়েছে। পাশাপাশি পিকে বাংলাদেশি নাগরিক, তাও আদালতে প্রমাণিত এবং তাদের বাংলাদেশে সাজার অর্ডার হয়েছে। ফলে সেই কপি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কোন গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সাজা ঘোষণা করছে। এটা আমাদের কাছে জরুরি।

এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে, হালদারদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। তিনি বলেছেন, এ কপি উপর আমাদেরও অনেকখানি নির্ভর করছে।

ফলে ভারতে মামলার গতিপ্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের রায়ের কপির উপরে। যদিও ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, হালদারদের ভারতে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পিকেদের দু'বছর জেল হেফাজতে কেটেই গেছে। বাকি থাকলো পাঁচ বছর। সেই মেয়াদ শেষ হলেই বাংলাদেশে তাদের পুশব্যাক করা হতে পারে। কারণ এটা প্রমাণিত যে তারা বাংলাদেশি।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেফতার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে সেখানেই বন্দি রয়েছেন হালদাররা। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে আওতায় ছ’জনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে পিকে হালদার ও ৫ সহযোগীকে রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test