E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাজায় নৃশংসতা থামছে না, নিহত ৩০ হাজার ২২৮

২০২৪ মার্চ ০২ ১২:২২:৫২
গাজায় নৃশংসতা থামছে না, নিহত ৩০ হাজার ২২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৩০ হাজার ২২৮ ফিলিস্তিনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে ৯২০ জন আহত হয়েছেন। খবর আনাদুলু এজেন্সির

বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছে কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

আন্তর্জাতিক আদালতের অস্থায়ী রায়কে উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আক্রমণ ও গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ৩০,২২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৭১ হাজার ৩৭৭ জন।

এদিকে বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে মানবিক সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো কমপক্ষে ১১২ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল এই ঘটনা অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, ইসরায়েলের সেনারা গুলি ছোড়ার পর পালাতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এসব ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

গাজায় মানবিক সহায়তার খাবার সংগ্রহের জন্য লাইনে দাঁড়ানো ফিলিস্তিনিদের ওপর বৃহস্পতিবার গুলি চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং আরো ৭৬০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজার নুসেইরাত, বুরেইজ ও খান ইউনিসের ক্যাম্পগুলোতে ইসরাইলের পৃথক বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান এবং আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিজনিত কারণে ছয় শিশু মারা গেছে, অন্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গাজা থেকে ভয়ঙ্কর গতিতে জীবন নিঃশেষ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র অলিভিয়া ডাল্টন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, 'সর্ব সাম্প্রতিক এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া দরকার।'

ডাল্টন গাজার উত্তরাঞ্চলের ঘটনাকে অত্যন্ত ভয়াবহ এবং আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাণহানির ঘটনা গভীর দুঃখের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা আরও মনে করি, এই ঘটনাটি গাজায় সম্প্রসারিত মানবিক সহায়তার প্রবেশের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বকেই তুলে ধরছে।

বর্তমানে উপত্যকাটির এক-চতুর্থাংশ বাসিন্দা দুর্ভিক্ষ থেকে মাত্র একধাপ দূরে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওসিএইচএ)-এর কোঅর্ডিনেশন ডিরেক্টর রমেশ রাজাসিংহাম বলেছেন, গাজার দক্ষিণে জনাকীর্ণ এলাকায়ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর যদি এমনটা হয়, তাহলে মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

তিনি নিরাপত্তা কাউন্সিলকে বলেন, গাজার দুই বছরের কমবয়সী প্রতি ছয় শিশুর একজন অপুষ্টিতে ভুগছে এবং মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে, গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের সবাই প্রয়োজনের তুলনায় 'খুবই সামান্য' খাবার খেয়ে বেঁচে আছেন।

(ওএস/এএস/মার্চ ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test