E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের শেষ অস্ত্র নারী!

২০১৪ মে ০৫ ১৩:২৫:৪৮
মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের শেষ অস্ত্র নারী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক মহিলার ফোনে আড়িপাতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গড়তে কেন্দ্রীয় সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। তবে কমিশন গঠনে আপত্তি উঠেছে ইউপিএ-র অন্দরেই। প্রকাশ্যেই এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার ও জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা।

কংগ্রেসের নেতারাও জানেন এই কমিশন গঠনের অন্যতম লক্ষ্য হল শেষ দুদফা ভোটের আগে ‘নারীদেরপক্ষে মোদি মোটেই নির্ভরযোগ্য নন’ এই প্রচারকে আরও তীব্র করে তোলা যে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য মোদির পথে তদন্তের কাঁটা বিছিয়ে রাখা।

কিন্তু ইউপিএ-র দুই শরিক নেতার বিরোধিতা মোদির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রচারকে নিস্প্রভ করে দিল না, শাসক দলকে অস্বস্তিতেও ফেলে দিলো।

তবে প্রকৃত কারণ যাই হোক, সরকারের বিরুদ্ধে শরিকরা মুখ খোলায় শক্তি পেয়েছে বিজেপি।

অরুণ জেটলির সঙ্গে এক সুরে অমিত শাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যস্তরে ইতিমধ্যেই কমিশন গড়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে কমিশন গঠন করতে তত্পর হয়েছে কংগ্রেস।

জোটে-বাইরে বিরোধের মুখে পড়েও কংগ্রেস অনড়। দলের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে হাইকম্যান্ডের পক্ষে ফের প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন কমিশন নিয়োগ করা যাবে না? তাছাড়া নারীর ওপর গোয়েন্দাগিরি নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে দশ দফা প্রশ্নও তুলেছে কংগ্রেস।

এক নারী স্থপতির ওপর গোয়েন্দাগিরি চালানোর অভিযোগ এনে গত অক্টোবরে একটি সিডি ফাঁস করে দিয়েছিল কোবরাপোস্ট নামে একটি সংস্থা। তাতে সবিস্তার কল রেকর্ড এবং ফোনে কথোপকথনের অডিও টেপ তুলে ধরে বলা হয়েছিল, বেঙ্গালুরুর ওই নারীর ওপর মোদির নির্দেশে গোয়েন্দাগিরি করেছিল গুজরাট পুলিশের অপরাধ দমন শাখা এবং সন্ত্রাস দমন শাখা। মোদির নির্দেশে অমিত শাহ তাতে নেতৃত্ব দেন বলেই অভিযোগ। যেহেতু গুজরাট পুলিশ রাজ্যের বাইরে গিয়ে মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুতে পর্যন্ত নারীর ওপর নজর রেখেছিল এবং ফোনে আড়ি পেতেছিল, তাই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্তরে তদন্ত কমিশন গড়ার ব্যাপারে গত ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওই বৈঠকে শারদ পাওয়ার এবং ফারুক আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন। ঠিক হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতিকে কমিশন-প্রধান করা হবে। কিন্তু কোনও প্রাক্তন বিচারপতিই সেই দায়িত্ব নিতে আগ্রহ না দেখানোয় অস্বস্তিতে পড়ে সরকার। ফলে কমিশন এখনও গঠন করা সম্ভব হয়নি।

দুই শরিক কমিশন নিয়ে আপত্তি তুললেও কপিল সিব্বল বলেন, বিজেপি বলছে কংগ্রেস প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কিন্তু একবারও জবাব দিচ্ছে না যে কেন ওই নারীর ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়েছিল।

এটা স্পষ্ট যে, সরকার শেষ পর্যন্ত কমিশন গঠন করুক, বা করুক। এটাকে মোদির বিরুদ্ধে শেষ লগ্নের ভোট প্রচারে জিইয়ে রাখতে মরিয়া। তবে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত যেহেতু মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়া হয়েছিল, তাই এ ব্যাপারে ভবিষ্যতেও জটিলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে গেল।

(ওএস/এটি/মে ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test