E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পর্যটনকে নিয়ে ঘুরে দাড়াবে নেপাল

২০১৫ জুলাই ০৬ ১৩:৫৯:৩৩
পর্যটনকে নিয়ে ঘুরে দাড়াবে নেপাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয়ে যে দুঃস্বপ্ন পিছনে ফেলে পর্যটনের প্রসারেই ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর হিমালয় কন্যা নেপাল। তাই খুলে দেওয়া হচ্ছে ট্রেকিং রুট। নেপালের কনসাল-জেনারেল চন্দ্রকুমাররে দাবি, ‘এমনকী কাঠমান্ডুতে পশুপতিনাথ র্দশন বা পোখরায় ক্যাসিনো-বিলাসের পথেও কোনও বাধা নেই।'

তিনি আরো বলেন ‘আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী র্পযটনস্থলগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে গত মাসেই। আর ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নেপালের কয়েকটি জায়গা চাক্ষুষ করাও একটা অভিজ্ঞতা! পর্যটকদের কাছে এখন সেট বাড়তি কৌতূহলের বিষয় হতে পারে বলে নেপল ট্যুরিজম বোর্ড কর্তাদের দাবি।

তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশের আটটি ইউনেস্কো-স্বীকৃত হেরিটেজ অঞ্চলের পাঁচটিই অক্ষত। নেপাল সরকারের ঘোষণা, ৩৫টি ট্রেকিং রুটের মধ্যে ৩২টিই নিরাপদ। মানসলু ও ল্যাংট্যাং ছাড়া ট্রেকিং রুটগুলি মোটামুটি অক্ষত। চন্দ্রকুমার জানাচ্ছেন, কাঠমান্ডুতে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরনো বাড়ি বা সৌধের। ৯০ শতাংশ হোটেলই অক্ষত। রাস্তাঘাটও খুলে গিয়েছে। তা হলে ভ্রমণার্থীদের আর ভাবনা কী! নেপালের পর্যটনের সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন ভ্রমণ সংস্থাগুলির একটি সংগঠনের সভাপতি অনিল পঞ্জাবিও।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পর্যটন ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে এত তাড়াতাড়ি এই ঘোষণা করে অভিযাত্রী ও পর্যটকদরে নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করল না তো নেপাল সরকার? অনেকেই বলছেন, নেপালের আয়ের বড় একটা অংশ পর্যটন। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে পর্যটনই তাদের প্রধান হাতিয়ার। তাই ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত দেশটা পর্যটনে জোয়ার এনেই নিজেরা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথে সামিল হয়েছেন হলিউড তারকা এবং বিখ্যাত পর্বতারোহীরাও।

প্রথম এভারেস্টজয়ী এডমন্ড হিলারির পুত্র পাটির হিলারি সম্প্রতি নিজে নেপালে গিয়েছিলেন। জ্যাকি চ্যান বা অস্কারজয়ী অভিনেত্রী সুজান স্যারান্ডনেরা বলেছেন, নেপালের মানুষের পথে দাঁড়ানোর সব থেকে ভাল উপায় হল, নেপালে বেড়াতে যাওয়া। এভারেস্ট আরোহী বসন্ত সিংহরায়ের মতে, ট্রেকিং রুট বন্ধ রাখলে, মানুষ তাঁদের কাজ শুরু করতে পারবেন না।

তবে কাঠমুন্ডুর পর্বতারোহণ আয়োজক সংস্থার কর্ণধার লোবেন শেরপার বক্তব্য, এমনিতেই প্রতি বছর বর্ষার পরে অনেক ট্রেকিং রুট নষ্ট হয়ে যায়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে অভিযান শুরু হলে তখন অনেক রুটই নতুন করে গড়ে তুলতে হয়। এ বার হয়তো কাজটা আরও একটু ধকলের হবে। এই যা!

(ওএস/এসএফকে/জুলাই ০৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test