E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

'ব্র্যান্ড মোদি' এবার নজর রাখবে মন্ত্রীদের ওপর!

২০১৪ জুন ০১ ১৬:৫১:৩১
'ব্র্যান্ড মোদি' এবার নজর রাখবে মন্ত্রীদের ওপর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাহলে কী এবার ছুটি মিলল মোদির অত্যন্ত দক্ষ 'আইটি ব্রিগেড’-এর? মোটেও না। এবার তারা কাজ করবে অন্যভাবে।

ভারতীয় গলমাধ্যম জানায়, মোদি তার এই দক্ষ 'আইটি ব্রিগেড’কে এবার সাউথ ব্লকে নিয়ে আসতে চাইছেন। নরেন্দ্র মোদির চোখ ও কান হয়ে এবার সরকারি কাজ, নানা প্রকল্প, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাজের খতিয়ানের উপর নজর রাখবেন তারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফিডব্যাকও দেবেন 'ব্র্যান্ড মোদি'-র সদস্যরা। তার ও সরকারের ভাবমূর্তি যেন কোনো ভাবে খারাপ না হয়, সে জন্য প্রথম থেকেই সক্রিয় হয়েছেন মোদি। নিজের ঘনিষ্ঠ এই দলকে দিল্লিতে এনে সে ব্যাপারে গোড়া থেকেই সতর্ক থাকতে চান তিনি।

বাজার কী বলছে, আম জনতা কী বলছে, মানুষের কী প্রত্যাশা, কীসে তাদের আপত্তি, মানুষের কাছে কী ভাবে পৌঁছনো দরকার, তা জেনে নিয়ে সেই মতেই এগোতে চান মোদি। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীরা বারবার আক্ষেপ করেছেন সরকার নানা ভালো কাজ করলেও তার খবর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। সোনিয়া যখন দলীয় সংগঠনকে সরকারের সাফল্যের কথা প্রচার করার নির্দেশ দেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

সরকার গড়ার পর এই ভুল করতে চাইছেন না মোদি। তাই তিনি তরুণ 'আইটি টিম'কে এই কাজে লাগাতে চাইছেন। এদের অনেকেই বিদেশের কেরিয়ার ছেড়ে মোদির টিমে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের পর অনেকে বিদেশে ফিরেও গেছেন। কিন্ত্ত বাকি প্রায় ১২৫ জন রয়ে গেছেন যারা এখনও এই কাজ করতে ইচ্ছুক। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে তাদের নৈশভোজে আপ্যায়িত করতে পারেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী প্রচারের সময় তাদের অধিকাংশের সদর দপ্তর ছিল আহমেদাবাদ। এবার সেটাকেই দিল্লিতে সরিয়ে আনতে চান প্রধানমন্ত্রী।

এমনিতে সরকারের কাছে মূলত চার ভাবে ফিডব্যাক বা সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া আসে। প্রথমটা অবশ্যই সরকারি ভাবে। বিভিন্ন দপ্তর তাদের প্রকল্পের মূল্যায়ন করে এবং সরকারি কর্মীরা নিয়মিত রিপোর্ট পাঠান। দ্বিতীয়ত, দলের মাধ্যমে। দলও সব সময় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে জানাতে থাকে, কোন সিদ্ধান্তের কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, মিডিয়ার মাধ্যমে ও চতুর্থত, সাধারণ মানুষ, যারা সরাসরি মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন তাদের মাধ্যমে। কিন্ত্ত এই সব প্রতিক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক হয় না। অনেক সময়ই সরকার যেটা শুনতে চাইছে, ফিডব্যাকও সেই অনুযায়ী হয়। সে জন্যই মোদি চাইছেন, তার বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করে এই খবর সংগ্রহ করতে। ফলে তার নিজের সরকার ও মন্ত্রীদের সম্পর্কে, তাদের কাজ সম্পর্কে মানুষের আসল প্রতিক্রিয়া যেমন তার নখদর্পণে থাকবে, তেমনই মানুষের কাছে যে বার্তাটা পৌঁছানো দরকার, সেটাও কার্যকরী ভাবে পাঠাতে পারবেন। ফলে মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হবে না, তার ইতিবাচক ছবিটাও বহাল থাকবে।

(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test