E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্ষমতায় এসেই টিপাইমুখ নিয়ে তৎপর মোদী

২০১৪ জুন ০৪ ১৪:৪৭:২১
ক্ষমতায় এসেই টিপাইমুখ নিয়ে তৎপর মোদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষমতায় এসেই টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের আসামের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক যুগশঙ্খ’ এ তথ্য দিয়েছে।

যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দীর্ঘ তিন দশক পর টিপাইমুখ বাঁধের অনিশ্চিয়তা দূর করতে তৎপর হলো বাংলাদেশ। দিল্লির মসনদে বসেই মোদী সরকার আটকে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের সমাধান সূত্র বের করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তারই সূত্র ধরে টিপাইমুখ বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়টিও নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে’।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘গত প্রায় দু’দশক ধরে বাংলাদেশের আপত্তির জন্য টিপাইমুখ প্রকল্পের কাজকর্ম স্থগিত হয়ে পড়ে। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে’।

যুগশঙ্খের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত সপ্তাহে ভারতের তরফ থেকে এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ঢাকার কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং গোটা বিষয়টি নতুনভাবে খতিয়ে দেখছে’।

এতে বলা হয়, ‘টিপাইমুখ নিয়ে দিল্লির বার্তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারও এই নদী বাঁধের সমাধান সূত্র বের করতে ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজে হাত দিয়েছে। এর আগে অবশ্য বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল টিপাইমুখ পরিদর্শন করে গেছে’।

যুগশঙ্খ বলছে, ‘এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ হলে সুরমা ও কুশিয়ারার বর্তমান জলপ্রবাহে কোনো রিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে চিন্তিত ছিল। এর প্রেক্ষিতেই এবার বাংলাদেশের বিশেজ্ঞরা ভারতের মণিপুরে অবস্থিত টিপাইমুখের আগে ও পরে বিস্তীর্ণ নদীপথে সমীক্ষা চালাবেন। বাঁধের নিরাপত্তা, জলাশয়ের আকার, কত ঘনমিটার জল (পানি) কতটা সময়ের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো বাংলাদেশের স্বার্থ অটুট রাখতে পারবে কি না, মূলত সেই দিকগুলিই তারা যাচাই করে দেখবেন। মাস খানেক সমীক্ষা চালানোর পর বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ঢাকা’।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘২০১৩ সালের ভারত-বাংলা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর টিপাইমুখ বাঁধ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মীয়মাণ বাঁধের দৈর্ঘ হবে ৩৯০ মিটার এবং এর উচ্চতা হবে ১৬২.৮ মিটার। প্রকল্পটি নির্মিত হরে পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা নিয়েও সমীক্ষা চালাবে দুই দেশের সরকার। প্রাথমিকভাবে টিপাইমুখ প্রকল্পে বিদ্যুতের পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও যুক্ত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এটিকে শুধু বিদ্যুৎ প্রকল্প হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার’।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test