E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আইএস নির্মূলে পেন্টাগনের নতুন পরিকল্পনা

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৪ ১৩:৫২:০৩
আইএস নির্মূলে পেন্টাগনের নতুন পরিকল্পনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করতে নতুন একটি পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে পেন্টাগন । ইরাক ও সিরিয়া ছাড়াও বিশ্বব্যাপী যেসব জিহাদিরা এই দেশদুটির সংঘাতে ইন্ধন যোগাচ্ছে তাদরকেও আওতাভুক্ত করা হচ্ছে এই পরিকল্পনার মধ্যে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মেরিন জেনারেল যোশেফ ডানফোর্ড এ কথা জানিয়েছেন।

তার কথা থেকে ধারণা পাওয়া গেছে যে, প্রাথমিক এই খসড়া পরিকল্পনাটির উদ্দেশ্য প্রথমে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বিস্তৃত।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এক সম্মেলনে ডানফোর্ড আল কায়েদার মতো অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর উল্লেখ করে খসড়া পরিকল্পনাটি সম্পর্কে বলেন, “এটি শুধু সিরিয়া ও ইরাক নিয়ে না, এটি পুরো বিশ্বের হুমকি নিয়ে।”

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৪৫ হাজার বিদেশি যোদ্ধা সংগ্রহ করেছে আইএস।

তিনি বলেন, “সফল হওয়াই আমাদের পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। এর জন্য প্রথমত দরকার, আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোর সংযোগ টিস্যুগুলো বিচ্ছিন্ন করা, এই সংযোগ এখন বিশ্বব্যাপী হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে করা ওই পর্যালোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া পরামর্শও গ্রহণ করা হয়েছে।

ডানফোর্ড জানান, এই পরিকল্পনা আইএসের অর্থ সংগ্রহের উপায় এবং যে আখ্যান এই জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে একটি নিজস্ব ধরনের খিলাফত ঘোষণার অনুমোদন দিয়েছে তার মোকাবিলারও উপায় খুঁজবে।

ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর আইএস বিরোধী লড়াইয়ের এক নিষ্পত্তিমূলক মূহুর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের এই পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এর ফলে সাবেক ওবামা প্রশাসনের সেনা সংখ্যা সীমিত রাখার মতো অনেক নীতির বাঁধন শিথিল হতে পারে।

ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা বাগদাদ-ভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের-সমর্থিত বাহিনীগুলো আইএসের দুটি শক্তিকেন্দ্র, ইরাকের মসুল ও সিরিয়ার রাক্কা পুনর্দখল করতে পারবে।

ইতোমধ্যেই ইরাকে আইএসের অধিকৃত শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর ও শক্তঘাঁটি মসুলের পূর্বাংশ পুনরুদ্ধার করেছে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইরাকি বাহিনী। পশ্চিম অংশ পুনরুদ্ধারেও অভিযান শুরু করেছে তারা, এখানে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test