E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানোর প্রস্তাব জাতিসংঘের

২০১৭ মার্চ ১৭ ১২:৪৪:৫৭
রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরানোর প্রস্তাব জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম ও বৌদ্ধদের মধ্যকার সহিংসতা বন্ধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের কমিশন। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনা ও তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের রাখাইনে অবাধে যেতে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিদ্রুত তদন্ত দল পাঠানো বিষয়ে জাতিসংঘকে আহ্বান করেছে।

আনান কমিশন নামে পরিচিত এই কমিশন রাখাইন রাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করতে কিছু সুপারিশ করেছে। রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিক এবং ত্রাণকর্মীদের অবাধে প্রবেশ করতে দেয়ার বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গাসহ রাখাইন রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব নিশ্চিতে দেশটির সরকারের কাছে একটি সমন্বিত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এখন সময় হয়েছে শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার। আর সেই সঙ্গে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার।’

দেশটিতে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা সাময়িক আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। তাদেরও বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে এসব ক্যাম্প বন্ধের সুপারিশ করেছে কমিশন।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন বিশেষ কমিশন যখন তাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন তখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী হিসেবে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আই আই সোয়ে বলেছেন, সরকার এই কমিশনের রিপোর্টটি দেখেছে এবং শিগগিরি এ বিষয়ে তাদের জবাব দেবে। যদিও মিয়ানমারের নেত্রী আং সান সুচির মতে, বেশিরভাগ সুপারিশই বাস্তবায়নের পথে।

২০১২ সালে প্রথম বৌদ্ধদের সঙ্গে সংহিসতায় সংখ্যালঘু বহু মুসলিম রোহিঙ্গা নিহত এবং ঘরছাড়া হয়। এরপর গতবছর অক্টোবরে নয়জন বর্ডার গার্ড পুলিশ নিহতের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের ওপর দমন নিপীড়ন চালায় দেশটির সরকার বাহিনী।

বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে রাখাইনের সব জনগোষ্ঠীর অবস্থা, সেখানকার সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি এবং উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার কারণ খুঁজে নিয়ে তা বিশ্লেষণের জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর আং সান সুচি ওই কমিশন গঠন করেন। কফি আনানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ওই কমিশনের ছয়জন মিয়ানমারের বিশিষ্ট নাগরিক।

আগস্টের শেষে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিদ্রুত তদন্ত দল পাঠানোর বিষয়ে জাতিসংঘকে আহ্বান করেছে।

মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে বলে এর আগে জাতিসংঘের যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তার ভিত্তিকে আরো কঠোরভাবে এই পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ওই খসড়া প্রস্তাবটি দেয়া হয়েছে। ২৩ শে মার্চ ওই প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হতে পারে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test