E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা কখনই বন্ধ করবে না’

২০১৭ এপ্রিল ২৭ ১৯:১৬:১৮
‘উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা কখনই বন্ধ করবে না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা কখনই বন্ধ করবে না। দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তার বিরল এক সাক্ষাতকারে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ‘আগ্রাসী কর্মকাণ্ড’ বন্ধ না করলে উত্তর কোরিয়া কখনই পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করবে না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।

বুধবার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সোক চোল ওন নামে উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কবে নাগাদ দেশটি তাদের ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেননি তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরমাণু শক্তিকে আরো শক্তিশালী করতে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কখনই পরমাণু বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করব না।’

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করতে দেশটির উপর নতুন করে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন প্রচেষ্টার মধ্যেই নিজেদের পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় আলোচিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। থাড সিস্টেম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটিকে উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ধরনের হুমকি থেকে বাঁচাবে। থাডের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে কোরীয় দ্বীপে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে যে কোনো সময়ই আরো একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া।

বুধবার থাডের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল ২০১৭ সালের আগে থাড কাজ শুরু করতে পারবে না। কিন্তু ইতোমধ্যেই থাড স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ায় অল্প কিছু দিনের মধ্যেই এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ শুরু করতে পারবে বলে জোরালো সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ভিনসন কোরীয় দ্বীপের পথে রয়েছে। এছাড়া পরমাণু অস্ত্র সম্বলিত সাবমেরিন ইউএসএস মিশিগান মঙ্গলবারই দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছে।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ৮৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকেও হুমকি হিসেবে দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ মাধ্যমে সোক চোল ওনের দেওয়া বক্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিক্রিয়া বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test