E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সৌদি জোটে যোগদান

তোপের মুখে পাকিস্তান সরকার

২০১৭ জুন ০৭ ১২:০৮:১৯
তোপের মুখে পাকিস্তান সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত ইসলামি সামরিক জোটে যোগ দেয়া নিয়ে নতুন করে তোপের মুখে পড়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যরা এ ইস্যুতে সরকারকে ব্যাপক চাপের মুখে ফেলেছেন।

ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টি বা পিটিআই’র নেতা শাহ মেহমুদ কোরেশি পাক সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশনে সামরিক জোটে যোগ দেয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন।

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের কথা প্রচার করা হচ্ছে সে বিষয়ে মারাত্মক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রথমদিকে বলা হলো যে, এ জোট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে কিন্তু ইরানকে বাদ রাখা হলো এবং এখন সন্ত্রাসবাদের অজুহাত তুলে কাতারকে দূরে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি’র নেতা ও সিনিয়র সিনেটর ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন, পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফের নেতৃত্বাধীন সৌদি সামরিক জোট দৃশ্যত ইরানের বিরুদ্ধে গঠন করা হয়েছে। তিনি অবসারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারলে রাহিল শরীফকে দেশে ডেকে পাঠানোর জন্য ওই দিন পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ফরহাতুল্লাহ বাবর সিনেট অধিবেশনে আরো বলেছিলেন, “এখন থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে; সরকার কী পিছিয়ে আসবে?” তিনি প্রশ্ন করেছেন, কেন সরকার সাবেক সেনাপ্রধানকে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রধান হিসেবে যোগ দেয়ার অনুমতি দিল?

এ ইস্যুতে পাক সিনেটের চেয়ারম্যান রাজা রব্বানি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, সরকার কী জেনারেল রাহিলকে বর্জন করেছে যে, তাকে সৌদি জোটে যোগ দিতে দিল! কারণ সৌদি জোটের অবস্থান ইরানের বিরুদ্ধে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য পাকিস্তান যে নীতি অনুসরণ করে তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। রাজা রব্বানি বলেন, সৌদি আরব পরিষ্কার করে বলেছে, এ জোট ইরানের বিরুদ্ধে।

সৌদি জোটে পাকিস্তানের যোগ দেয়ার বিষয়টিকে দেশটির রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা সংসদে পাস হওয়া প্রস্তাবের লঙ্ঘন বলেও বিবেচনা করছেন। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পাক সংসদের যৌথ অধিবেশনে পাস হওয়া প্রস্তাবে পাকিস্তান সরকারকে সৌদি জোটে যোগ দেয়া ও ইয়েমেনে সামরিক অভিযানে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সরকারও সবসময় বলে আসছে তারা এ জোটে যোগ দেবে না বরং নিরপেক্ষ থাকবে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি সফরের সময় রিয়াদ সম্মেলনে যোগ দেয়ার মাধ্যমে নওয়াজ শরীফ সে অবস্থান থেকে সরে গেছেন বলে অভিযোগ করছেন দেশটির রাজনীতিবিদরা।

(ওএস/এসপি/জুন ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test