E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবশেষে ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট

২০১৭ জুন ০৯ ১৪:৪৬:৫৫
অবশেষে ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোন দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে অবশেষে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৩টি আসনের নিশ্চিত ফল জানা গেছে। এই ফলাফল থেকেই জানা যায় যে, এবারের নির্বাচনে কোন দলই একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভরা পেয়েছেন ৩১৩টি আসন। এদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি জিতেছে ২৬০ আসনে। এছাড়া এসএনপি পেয়েছে ৩৫ আসন, এলডি ১২ আসন এবং অন্যান্য ২৩টি আসন।

৬৫০ সদস্যবিশিষ্ট ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩২৬ আসন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের দখলে ছিল ৩৩১ আসন। কিন্তু ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন প্রশ্নে নিজের ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করতে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে মধ্যবর্তী এই নির্বাচন দেন। ধারণা ছিল অন্তত একশ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টেরিজা মে ক্ষমতায় ফিরবেন।

২০১৫ সালের নির্বাচনে বুথ ফেরত জরিপে কনজারভেটিভ দল ৩১৬টি আসন পাবে বলে আভাস দিলেও শেষ পর্যন্ত দলটি ৩৩১টি আসন পেয়েছিল। গতবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ায় এবার জোট করে সরকার গঠন করতে হচ্ছে মে-কে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোটার ছিলেন প্রায় চার কোটি নয় লাখ। ব্রিটিশ পার্লামেন্টর নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের মোট ৬৫০ আসনের বিপরীতে এবার মোট ৬৮টি দল ও ১৯১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট দুই হাজার ৩০৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ডে ৫৩৩, স্কটল্যান্ডে ৫৯, ওয়েলসে ৪০ এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডে ১৮টি আসন রয়েছে। সবগুলো আসনে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোনো দল এককভাবে ৩২৬টি আসন পেলেই মিলবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এটি যুক্তরাজ্যে তৃতীয় জাতীয় নির্বাচন। ২০১৫ সালে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ দল ৩৩০টি আসন পেয়ে এককভাবে ক্ষমতায় ফেরে। এরপর ২০১৬ সালের জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গণভোট। ওই গণভোটে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইইউতে থাকার পক্ষে ছিলেন। জনগণ বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দিলে ক্যামেরন পরাজয় মেনে পদত্যাগ করেন। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী হন টেরিজা মে। ওই গণভোটের রায় বাস্তবায়নে নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে টেরিজা মে-র ইচ্ছায় এই মধ্যবর্তী নির্বাচন।

(ওএস/এসপি/জুন ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test