E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘাঁটি রক্ষায় আত্মঘাতী ঢাল আইএসের

২০১৭ জুলাই ০৪ ১১:৪৫:৪৬
ঘাঁটি রক্ষায় আত্মঘাতী ঢাল আইএসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের হাত থেকে মসুল পুনর্দখলের বেশ কাছাকাছি পৌঁছেছে ইরাকি সেনারা। তবে শেষ বেলায় এসে সেখানে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে, বেড়েছে আত্মঘাতী বোমা হামলার সংখ্যাও। বিবিসি।

আশা করা হচ্ছে স্থানীয় কমান্ডাররা খুব শিগগিরই ‘ওল্ড সিটি’ বলে পরিচিত মসুলের নিয়ন্ত্রণ হাতে পাবেন। ইরাকে আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা মসুলই শেষ শহর।

তবে যুদ্ধের চূড়ান্ত এই পর্যায়ে এসে ঘাঁটি ধরে রাখতে আত্মঘাতী হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে আইএস। আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদেরও।

মসুলে আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হয় ২০১৬ সালের অক্টোবরে।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক উপদেষ্টাদের ও বিমান হামলার সহায়তায় অভিযানে রয়েছে- ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর হাজারো সদস্য, কুর্দিশ পেশমেগরা যোদ্ধা, সুন্নি আরব ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা।

২০১৭ সালে মসুলের পূর্বাঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা ঘোষণা করে সরকার। তবে সরু ও রাস্তার বাঁকের কারণে শহরের পশ্চিমাংশে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সরকারি বাহিনীকে।

ইরাকের কাউন্টার-টেররিজম সার্ভিসের (সিটিএস) কমান্ডার লে. জে. আব্দুলঘানি আল-আসাদি বলেছেন, ওল্ড সিটির নকশার কারণে সেখানে যুদ্ধ দিন দিন কঠিন হচ্ছে।

তবে তিনি এ কথাও যোগ করেছেন যে, শহরের নকশার কারণে আইএস জঙ্গিরা যে সুবিধা পাচ্ছে সেই একই সুবিধা পাচ্ছে ইরাকি সেনারাও।

সিটিএসের আরেক কমান্ডার লে. জে. সামি আল-আরিধি বলেন, গত তিন ধরে আশপাশের এলাকাগুলো শত্রুরা আত্মঘাতী হামলাকারীদের, বিশেষ করে নারীদের ব্যবহার করছে। তার আগে তারা স্নাইপার ও বোমা হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন কিশোরীও ছিলেন।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সেনাদের উপর দুই নারী আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া আরও সাত নারী বিস্ফোরক বহন করছিলেন, তাদেরও নিজেকে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়েছে।

ইরাকি কমান্ডাররা বলছেন, এ ধরনের হামলা ঠেকাতে তারা নারীদের মুখ না ঢেকে রাখার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া পুরুষদের শার্ট খুলতে বলা হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে।

জাতিসংঘ বলছে, মসুলে আইএস আনুমানিক ১ লাখ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইরাকি সেনাবাহিনীর ধারণা, মসুলে ৩০০-এর বেশি জঙ্গি নেই। অক্টোবরে প্রতিরোধ যখন শুরু হয়েছিল তখন এ সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ হাজার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রাসুল রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, জয় খুব কাছেই। আরেক কমান্ডার বলেছেন, পাঁচ দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবে।

২০১৪ সালের জুনে মসুলের নিয়ন্ত্রণে নেয় আইএস।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test