E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভারতে ন্যাপকিন না পরে প্রতিবাদ

২০১৭ জুলাই ২৫ ১২:৩০:১৮
ভারতে ন্যাপকিন না পরে প্রতিবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্যাম্পাসে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের সংখ্যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় খুবই কম। ভেন্ডিং মেশিন থেকে যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায় তার মানও তেমন ভালো নয়। এই অভিযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। সোমবার ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন না পরেই প্রতিবাদ জানান তিনি।

বর্ষার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এই পরিস্থিতিতে ক্লাসও করেছেন স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। তার বক্তব্য, ক্যাম্পাসে মেয়েদের কমন রুমে মাত্র একটি ভেন্ডিং মেশিন আছে। কিন্তু সেই মেশিন থেকে যে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায় তা খুবই নিম্নমানের। তাই তার এই প্রতিবাদ।

তবে অনেকের মতে প্রতিবাদের ধরনটি তেমন দৃষ্টিনন্দন নয়, ওই ছাত্রীর পক্ষে স্বাস্থ্যকরও নয়। বিষয়টি জেনে রাজ্য নারী কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিবাদের অধিকার সবারই আছে। কিন্তু এভাবে প্রতিবাদ না করে অন্য ভাবেও করা যেত।’

পাল্টা যুক্তি হিসেবে কেউ কেউ মণিপুরের নারীদের নগ্ন প্রতিবাদের দৃষ্টান্তের কথা তুলে ধরেছেন। যদিও শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন অনন্যা চক্রবর্তীর বক্তব্য, মণিপুরে সেনাবাহিনীর অত্যাচার সহ্য করতে করতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল মেয়েদের। তার পর তারা ওই রকম প্রতিবাদের পথে হেঁটেছে।

তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রীর অভিযোগকে আমি সমর্থন করছি। ধরেই নিচ্ছি ছাত্রীটি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সাড়া পায়নি। কিন্তু তা হলেও আমি প্রতিবাদের এই পথ বেছে নিতাম না। অন্য ভাবে করতাম।’

প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনো অভিযোগ শিক্ষার্থীরা তাদের জানাননি। ক্যাম্পাসে যে ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে তাতে এক সঙ্গে ৫০০টি স্যানিটারি ন্যাপকিন ভরা থাকে। তার মান খারাপ নিয়ে কোনো অভিযোগ তাদের কাছে আসেনি।

তিনি বলেন, ‘দু’বছর আগে রাজ্যে আমরাই প্রথম এই ভেন্ডিং মেশিন বসাই। আজ হঠাৎ শুনি এক ছাত্রী আন্দোলন শুরু করেছে। আমি সত্যি অবাক!’

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজকাল স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন থাকে জেনে বিস্মিত হলেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। তার বক্তব্য, ‘আমাদের সময় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এ তো ভাবাই যেত না! সব কিছুতেই একটু ধৈর্য্য ধরা বোধহয় প্রয়োজন। আর এভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন না পরে থাকাটা ছাত্রীটির স্বাস্থ্যের পক্ষেও তো ভাল নয়।’

স্ত্রীরোগ চিকিৎসক অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঋতুকালীন অবস্থায় স্যানিটারি ন্যাপকিন না পরে থাকলে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওই ছাত্রীর বক্তব্য, সব কিছু জেনেবুঝে কর্তৃপক্ষের টনক নড়াতেই তার এই প্রতিবাদ। মঙ্গলবার তিনি স্বাভাবিকভাবেই এসে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেবেন। আনন্দবাজার।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test