E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘হামলা করলে চীন শুধু মৃত্যুর মিছিল দেখবে’

২০১৭ আগস্ট ২১ ১৫:১৭:০১
‘হামলা করলে চীন শুধু মৃত্যুর মিছিল দেখবে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডোকালাম অঞ্চলকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনায় এবার চীনকে হুঁশিয়ার করলো ভারত। যুদ্ধ দেশটির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলে জানিয়েছে ভারতের সরকার। এতে শুধু চীনাদের মৃত্যুর মিছিল বাড়বে বলে জানিয়েছে দিয়েছে তারা।

বেইজিংয়ের সঙ্গে চলমান বাগযুদ্ধে সর্বশেষ ভারতের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হলো। ডোকলামসহ চীন-ভারতের মধ্যবর্তী অন্য সীমান্তগুলো নিয়ে এক মূল্যায়ন শেষে ভারত জানিয়েছে, যুদ্ধে জড়ালে চীন না কৌশলগত কোনো সুবিধা পাবে, আর না ভূখণ্ড দখলে নিতে পারবে। এই যুদ্ধে কেউই জয়ী হতে পারবে না।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে।

গত জুনে ওই অঞ্চলে চীন একটি সড়ক নির্মাণ শুরু করলে বিরোধ শুরু হয় ভুটানের সঙ্গে। থিম্ফুর অনুরোধে সেখানে সেনা পাঠায় ভারত সরকার। রাস্তা নির্মাণ নিয়ে চীনকে সতর্কতাও দেয় তারা। চীন, ভারত ও ভুটানের মধ্যকার ত্রিদেশীয় ডোকালাম সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে। ৩০ বছর ধরে এ নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে আছে তারা। চীনারা ডোকলাম সীমান্তকে ‘ডোংলাং’ নামে আখ্যায়িত করে এবং নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধে চরম ক্ষতি হবে চীনের। ‘রাইজিং পাওয়ার’ হিসেবে এতে তাদের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরাও মনে করেন, যতই হুমকি দিক না কেন, শেষ পর্যন্ত সংঘাতের পথে হাঁটবে না চীনা সরকার। এতে উদীয়মান অর্থনীতির এই দেশটির বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখেমুখি হতে হবে।

এর আগে সীমানা নিয়ে বিরোধ থেকেই ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। চীন তিব্বত দখল করার পর ভারতের বর্তমান অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকে নিজের অন্তর্ভুক্ত এলাকা বলে দাবী করে। এভাবে যে সীমান্ত সমস্যার শুরু হয় তা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের সূচনা করে। যুদ্ধে ভারত একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। চীন আকসাই চীন দখলে রাখে কিন্তু অরুণাচল প্রদেশ ফিরিয়ে দেয়। ওই যুদ্ধের পর থেকেই ভারতের শান্তিবাদী পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসে।

কিন্তু সে সময় থেকে ভারতের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। তাই এই মুহূর্তে চীনা বাহিনী তাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইবে না। অবশ্য চীনের হুমকিও থেমে নেই। বারবার ভারতকে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের কথা মনে করিয়ে দিতে চাইছে তারা।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test