E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিয়ানমারকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

২০১৭ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:৪২:৫৫
মিয়ানমারকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে রাখাইনে বেসামরিক হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা ও ত্রাণ সহায়তা কর্মীরা।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ভিভিয়ান ট্যান বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। ভয়েস অব অামেরিকা বার্মিজ সার্ভিসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৮ হাজার মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় কেন্দ্র সংকটে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলো বলছে, এখনো সীমান্তের শূন্য রেখায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষা করছেন।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশি তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এর পর থেকে সেখানে রোহিঙ্গা বিরোধী কঠোর অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নিষ্ঠুর অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।

রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে হিন্দুরাও রয়েছেন। বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইনে গত ৫ বছরের মধ্যে এবারের সহিংসতার ঘটনা অত্যন্ত চরম অবস্থায় পৌঁছেছে।

মিয়ানমারের সামজিক কল্যাণ ও স্থায়ী ত্রাণ সচিব সো অং বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে মুসলিম ও বৌদ্ধদের জন্য হেলিকপ্টার থেকে খাবার ফেলছে বিমানবাহিনী। তিনি বলেন, অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি বলেছেন, মিয়ানমারের গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। রাখাইনে বিদ্রোহীদের হামলার নিন্দা জানান তিনি। একই সঙ্গে মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে শিগগিরই রাখাইনে বেসামরিক হত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।

নিক্কি হ্যালি বলেন, আর যেন সহিংসতা না ঘটে সেলক্ষ্যে বার্মিজ নিরাপত্তা বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করেছে, তবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দায়িত্ব আছে তাদের। যাতে নির্দোষ বেসামরিকসহ, মানবিক সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা থেকে বিরত থাকা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছানো যায়।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test