E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশে ঢুকেছে ৪ লাখ রোহিঙ্গা : ইউনিসেফ

২০১৭ সেপ্টেম্বর ১৪ ২৩:২৭:৫৬
বাংলাদেশে ঢুকেছে ৪ লাখ রোহিঙ্গা : ইউনিসেফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে জীবন বাঁচাতে ২৫ আগস্টের পর চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে নারী এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সেখানে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়াকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে। সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমার সরকার এবং অং সান সু চিকে চাপ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহল। তারপরও সহিংসতা সমানহারে চলছে। বাংলাদেশে এখনও আসছে শরণার্থীর ঢল।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে পাঠ্যপুস্তকে পঠিত জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধানের মুখপাত্র লিওনার্দো দোলে জানান, শরণার্থীর ঢলে বাংলাদেশ সীমান্তে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম রোহিঙ্গারা জানান, সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধরা মিলে নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণ করছে। বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে তারা, লুটপাট করছে সমানহারে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে তুরস্ক; প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, জাতিসংঘের কাছে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কথা বলবেন তিনি।

২০১৬ সালের অক্টোবরে রাখাইনের বেশ কিছু স্থানে হামলার জেরে সেনাবাহিনীর পাঁচ মাস ধরে চলা অভিযানে চার শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল এ ব্যাপারে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দেয়। তাতে দলগত ধর্ষণ, গণহত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের ৪০ শতাংশ গ্রামই এখন মানুষশূন্য। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোর মধ্যে ১৭৬টিতেই কোনো জনমানব নেই বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জাও হাতে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

জাও হাতে জানান, তিনটি পৌরসভায় মোট ৪৭১টি রোহিঙ্গা গ্রাম রয়েছে। তার মধ্যে ১৭৬টি গ্রাম জনশূন্য হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী ৩৪টি গ্রামে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test