E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভাত খেলেই কমবে হৃদরোগ-ক্যান্সারের ভয়

২০২০ ফেব্রুয়ারি ২৯ ১৬:০৮:৫৮
ভাত খেলেই কমবে হৃদরোগ-ক্যান্সারের ভয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন নিয়ে সচেতন এখনকার বেশিরভাগ মানুষই। বাড়তি ওজন হলেই তা ঝরিয়ে ফেলার থাকে নানা প্রচেষ্টা। কারণ এই বাড়তি ওজনের হাত ধরেই দেখা দেয় নানা রোগ। আর ওজন ঝরানোর প্রথম পদক্ষেপেই খাবার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় ভাতকে। কেউ কেউ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভাতের পরিমাণ কমাচ্ছেন।

শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতেই ভাতের সঙ্গে এমন দূরত্ব। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, যেহেতু এশিয়ার মানুষেরা দীর্ঘকাল ধরে ভাত খেতে অভ্যস্ত, তাই এই ভাত থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নেয়াটা বোকামি। ভাত খাবেন তবে, চালটা একটু ভিন্ন হলেই আর সমস্যা থাকবে না।

পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত বাদ দেওয়ার যে চল আজকাল শুরু করেছে, তার বদলে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় কালো চালের ভাত খেলে হার্টের রোগ আর ক্যানসার ঠেকিয়ে রাখার পথে অনেকটা এগিয়ে থাকা সম্ভব। কালো চালে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তাই ইদানীং ডায়াবেটিস রোগীদেরও নিশ্চিন্তে এই চাল নিয়ন্ত্রিত মাপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, কালো চালে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম থাকে তেমনই মেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। ফ্ল্যাভনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কারণে নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও মেলে এই কালো চাল থেকে। এর মধ্যে ফাইবার যতটা আছে, সাদা বা লাল চালের তুলনায় তা অনেকটাই বেশি।

কালো চাল অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। লিভার ও হার্টকে সুস্থ রাখতে পারে। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন যেকোনো ফ্রি রাডিক্যালের মারণ বৃদ্ধি রুখে শরীরকে সুস্থ রাখে। গ্লুটেনমুক্ত হওয়ায় বাড়তি মেদ জমার ভয়ও একেবারেই থাকে না।

কালো চালের ভাত রান্না করার কিছু নিয়ম:

* কালো চালের ভাত রান্না হতে আধঘণ্টার মতো সময় লাগে, তাই আগের রাত থেকে ভিজিয়ে রাখুন চাল। তা হলে সময় অনেক কম লাগবে।

* কালো চাল দিয়ে পায়েস তৈরি করে খেলেও একই পুষ্টিগুণ পাবেন। কালো চালে বানানো পায়েসের রং বেগুনি হয়।

* এই চাল রান্নার সময়, চালের পরিমাণের দ্বিগুণ পানি দিন। মাড় ঝরিয়ে ঝরঝরে ভাত খেতে চাইলে পানি দিতে হবে আরও বেশি।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test