E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সন্তান জন্মের পর নতুন মায়েরা যেভাবে দ্রুত ওজন কমাবেন

২০২১ মার্চ ০৪ ১৫:২৮:০৩
সন্তান জন্মের পর নতুন মায়েরা যেভাবে দ্রুত ওজন কমাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক : গর্ভকালীন সময়ে সব নারীদেরই কমবেশি ওজন বেড়ে যায়। পরবর্তীতে সন্তান জন্মের পর নতুন মায়েরা অতিরিক্ত ওজন কমাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান। অন্যদিকে আবার সন্তানের কথাও ভাবতে হয়।

কারণ সন্তান জন্মের পরে যেহেতু তারা বুকের দুধ পান করে, তাই এ সময় ডায়েটও করতে পারেন না নতুন মায়েরা। তাহলে এ সময় ওজন কমানোর কি কোনো উপায় নেই?

অবশ্যই ওজন কমাতে পারবেন! কারিনা কাপুর খান থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, মালাইকা অরোরা খান, লারা দত্তসহ শিল্পা শেঠি তারাও মা হয়েছেন। তবুও তারা ফিট।

পোস্ট ডেলিভারির পর শরীরকে আবার আগের আকারে ফিরে আনতে এসব বলি নায়িকারাও ফিট থাকতে ফিটনেস মন্ত্র ব্যবহার করেছেন। যার দরুন তারা দ্রুত ওজন কমিয়ে শরীরের আকার ঠিক রাখতে পেরেছেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক করণীয়-

খাবারে অনিয়ম নয়

আপনি সদ্য মা হয়েছেন, তাই এ সময় পর্যাপ্ত খাবার খেতে হবে। না হলে শরীর সব ধরনের পুষ্টি পাবে না। তাই কোনো বেলার খাবারই এড়িয়ে যাবেন না। দিনে কমপক্ষে ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাবার খাবেন।

স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- শাকসবজি এবং ফল অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখবেন। এ ছাড়াও রুটি, সিরিয়াল, বাদামি চাল এবং পাস্তা রাখতে পারেন। চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।

প্রতিদিনের খাবারে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যেমন- চর্বিযুক্ত মাংস, মুরগি, হাঁসের মাংস, ডিম, দই এবং স্কিমযুক্ত দুধ খেতে পারেন।

ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না

গর্ভকালীন সময় ও প্রসব বেদনার পর আপনার দেহের কিছুটা সময় প্রয়োজন। শিশুর বয়স কমপক্ষে ২ মাস বয়স না হওয়া পর্যন্ত শরীরের উপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবেন না। আপনি যদি বুকের দুধ খাওয়ান, তবে ক্র্যাশ ডায়েট করলে শিশুর দুধ পাবে না।

শরীরচর্চা শুরু করুন

আপনার যদি স্বাভাবিক প্রসব হয়, তবে আপনি ২০-৩০ দিনের মধ্যে অল্প অল্প করে ফ্রি-হ্যান্ড বা কার্ডিও ব্যায়ামগুলো শুরু করতে পারেন।

আর যদি আপনার সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়ে থাকে, তবে কমপক্ষে দেড় থেকে ২ মাস সময় নিন। তবে চাইলে ৪০ দিনের পর থেকে নিয়মিত হাঁটা ও অল্প কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।

প্রচুর পানি পান করুন

ত্বক ও শরীর ভালো রাখতে প্রচুর পানি পান করার বিকল্প নেই। মায়ের দুধে থাকে ৫০ শতাংশ পানি। তাই দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা আবশ্যক।

নিয়মিত ব্রেস্টফিডিং করান

শিশুকে দুধ খাওয়ালে নতুন মায়ের ওজন কমতে শুরু করে। কারণ এটি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি পোড়ায়! তবে অনেক সময় বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।

কারণ দুধ খাওয়ানোর পরই আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করবেন। এ কারণে এ সময় ডায়েট করা অসম্ভব বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে পুষ্টিকর ও ফাইবারজাতীয় খাবার দিয়ে যদি পেট ভরান; তাহলে ক্রমশ ক্ষুধা কমবে। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

ভালো ঘুম আবশ্যক

ওজন কমাতে গেলে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। তাই এ সময় সদ্য মায়েদের উচিত নিয়ম করে ঘুমানোর।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নতুন মায়েরা দিনে ৫ ঘণ্টা ঘুমান; তাদের তুলনা যারা ৭ ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন সন্তান জন্মের পর সেসব মায়েদের ওজন দ্রুত কমেছে। তাই এ সময় মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তিই পারে দ্রুত ওজন কমাতে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test