E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এ সময়ের বাহারি রোদ চশমা

২০২২ জুলাই ১৮ ১৪:৩১:৩৬
এ সময়ের বাহারি রোদ চশমা

মারুফ সরকার : তীব্র গরমে চারদিকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রখর রোদে বাইরে বের হওয়া যেন দায়। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে বাইরে তো বের হতেই হয়। আর এই গরমে কড়া রোদের পাশাপাশি ধুলাবালি তো আছেই। তাই গরমে চোখের সুরক্ষায় নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে রোদ চশমার কোনো বিকল্প নেই। রোদ চশমা এখন শুধু চোখের সুরক্ষায় নয়, ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়।

চলুন জেনে নিই এই গরমে কেমন হবে রোদ চশমা

সবসময় একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার অনুষঙ্গই আপনার ব্যক্তিত্ব। তাই রোদ চশমা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সবসময় নামি-দামি সানগ্লাস বাছাই করবেন এমনটা নয়। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে, যে চশমা আপনি বাছাই করছেন তা আপনার মুখের আদল, পোশাকের ধরন, পোশাকের রং, চুলের কাটিং, যে পরিবেশে থাকবেন, চুলের রং ইত্যাদির সঙ্গে কতটা মানানসই হচ্ছে। প্রথমে আপনাকে আপনার মুখের আদল বুঝে রোদ চশমা বাছাই করতে হবে। দোকানে বিভিন্ন ধরনের রোদ চশমা আছে। যেমন- গোলাকার, পানপাতা, চারকোনা বা ডায়মন্ড শেপ ইত্যাদি। রোদ চশমা কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার চেহারার বিপরীত শেপের চশমা বাছাই করবেন। যদি আপনি চেহারার সঙ্গে মিল রেখে একই আকারের চশমা কেনেন তাহলে আপনাকে দেখতে অনেকটা একঘেয়ে লাগবে। যাদের মুখের অবয়ব চারকোনা, তাদের গোলাকার সানগ্লাস বেছে নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে গোল ফ্রেম মুখের আদলে ভারসাম্য আনতে সাহায্য করবে। এই শেপের জন্য বড় বা ছোট যে কোনো আকৃতির গোলাকার চশমা বেছে নিতে পারেন। চারকোনা মুখের আদলে গোলাকার চশমা মানানসই হয়।

পানপাতার মতো মুখের ক্ষেত্রে চোয়ালের অংশ ও কপালের অংশের ভারসাম্য রাখতে মোটা ফ্রেমের সানগ্লাস বাছাই করুন। এ ক্ষেত্রে সানগ্লাসের নিচের অংশ ওপরের অংশের তুলনায় ভারী হলে দেখতে ভালো লাগবে। যাদের মুখের আদল ডিমের মতো তারা সব ধরনের ফ্রেমই ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ডায়মন্ড শেপ মুখেও সব ধরনের সানগ্লাস মানিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ফ্রেমসহ সানগ্লাস বেশি মানায়। খেয়াল রাখতে হবে সানগ্লাসের ফ্রেম যেন গালের হাড় বরাবর হয়। আর ফ্রেমটা এমনভাবে বাছাই করুন যেন কপাল, চিবুক ও গলাটা নজরে আসে। এ ছাড়া হেয়ার স্টাইলের সঙ্গে মিল রেখেও চশমা বাছাই করতে পারেন।

চুল যদি বেশ লম্বা হয়ে থাকে তাহলে চশমার পাশাপাশি স্কার্ফও ব্যবহার করতে পারেন। এতে ডিফারেন্ট লুক আসবে। চুল যদি কোঁকড়া হয়, তাহলে চশমার ফ্রেমের মাপ ভ্রু লাইন বরাবর রাখুন। এ ছাড়া স্ট্রেইট চুলে রাউন্ড চশমা খুব ভালো মানিয়ে যায়।এই গরমে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বিপণিবিতানগুলোতে এসেছে বাহারি আকার, ধরন ও রঙের চশমা। বাজার ঘুরে জানা যায় ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে আছে ওয়েফার ফ্রেম (চারকোনা মাপের, কিন্তু কোনাগুলো গোলাকার)।

এর পাশাপাশি ওভার স্কয়ার শেপটাও বেশ চলছে। এ ফ্রেমগুলো সাধারণত প্লাস্টিক ও মেটালের হয়ে থাকে। তাছাড়া পাইলট শেপ অর্থাৎ ত্রিকোনাকার কিন্তু চারদিকের কোনাগুলো গোলাকার এমন ফ্রেমের চশমারও বেশ চাহিদা রয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্রেতারা রঙের ক্ষেত্রে কালো, খয়েরি, সবুজ, ধূসর, নীলসহ এ ধরনের রঙকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। বাজার ঘুরে লক্ষ্য করা যায়, ব্র্যান্ডভেদে রোদ চশমার কার্যকারিতায়ও রয়েছে ভিন্নতা।

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করে এমন রোদ চশমাকে বলে পোলারাইজড সানগ্লাস। তাই সানগ্লাসের আকার বা রং যেমনই হোক না কেন কেনার সময় অবশ্যই পোলারাইজড সানগ্লাস কিনুন। কারণ এই লেন্সের সানগ্লাস পানি, বরফ ও রোদের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখবে।

কোথায় পাবেন
শপিং সেন্টার থেকে শুরু করে ফুটপাত সব খানেই পাওয়া যায় রোদ চশমা। এলিফ্যান্ট রোড, সাতমসজিদ রোড, ফার্মগেট, সিদ্ধেশ্বরী, বসুন্ধরা শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক ও নিউমার্কেটে ভালো চশমার দোকান। এ ছাড়া অনলাইন শপ তো আছেই।

এসব জায়গায় ফ্রেমগুলোর মূল্য হবে ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এ ছাড়া ব্র্যান্ডেড ফ্রেমগুলোর মূল্য হতে পারে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। নন-ব্র্যান্ড ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড সানগ্লাসের দামে পার্থক্য রয়েছে। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে- রে-ব্যান, লুসবাটন, শ্যানেল, গুচ্চি, ফাস্টট্র্যাক, কেরারা, পুলিশ, ডিএনজি, ওকলে, প্যারাডা, রিবন, সাফারি বা ক্রিশ্চিয়ান ডিওর। এসব ব্র্যান্ডের সানগ্লাস পেয়ে যাবেন এক হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে।

(এমএস/এএস/জুলাই ১৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test