E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিথ্যা ধরা যাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে

২০১৪ জুন ০১ ১৫:৫০:৫০
মিথ্যা ধরা যাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে

নিউজ ডেস্ক : কেউ যদি দাবি করেন যে, তিনি মিথ্যা কথা বলেন না, তবে সেটা বিশ্বাস করবেন না। কারণ মানুষ প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে থাকে। কিন্তু এর ভেতরও আবার রকমফের আছে।

যেমন- আপনার কোন বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হলো। তিনি আপনাকে জিজ্ঞেস করলেন কেমন আছেন? আপনিতে গতানুগতিক উত্তর তৈরি করেই রেখেছেন। বলে দিলেন হ্যাঁ ভালো আছি। কিন্তু আপনি শারীরিক বা মানসিক অথবা পারিবারি বা ব্যক্তিগত কারণে ভালো নেই। তাহলে আপনার ‘ভালো আছি’ কথাটা কী সত্যি?

মানুষ প্রতি ১০ মিনিটের আলাপে গড়ে তিনটা করে মিথ্যা কথা বলে। আর এ মিথ্যার মধ্যে অধিকাংশই হয় অতি সাধারণ মিথ্যা কথা। এ ধরনের মিথ্যা কথাগুলো কীভাবে ধরা যাবে? এ প্রসঙ্গে কয়েকটি বিজ্ঞানসম্মত উপায় উল্লেখ করেছে হাফিংটন পোস্ট।

১. আমি থেকে আমরা
মিথ্যার ক্ষেত্রে মানুষ ‘আমি’ কথাটিকে ‘আমরা’ হিসেবে বলতে শুরু করে। যেমন ‘আমি সেখানে কয়েকজন বন্ধুসহ গিয়েছিলাম।’ কথাটিকে মিথ্যার ক্ষেত্রে বলা হতে পারে ‘আমরা সেখানে কয়েকজন বন্ধুসহ গিয়েছিলাম।’

২. বেসলাইন পদ্ধতি
এ পদ্ধতিতে সত্য কথা বলার সময়ের পরিস্থিতির সঙ্গে মিথ্যা কথা বলার পরিস্থিতির তুলনা করা হয়। এজন্য তাদের কিছু সত্য উত্তর দেওয়ার মতো বা অপ্রাসঙ্গীক প্রশ্ন করা হয়। তারপর উভয়ের উত্তর দেওয়ার সময় বক্তার নানা পরিবর্তন তুলনা করা হয়। এতে দেখা যাবে সত্য বলার সময় বক্তা যেমন আচরণ করবে, মিথ্যা বলার সময় তার তুলনায় ভিন্ন আচরণ করবে।

৩. শয়তানের উকিল পদ্ধতি
‘ডেভিলস অ্যাডভোকেট’ নামে এ পদ্ধতিতে মিথ্যাবাদী নির্ণয় করা যায় সহজেই। এজন্য কোনো একটি মিথ্যা বিষয়ের ওপর মতামত দিতে বলা হয়। সত্যবাদীরা এক্ষেত্রে তেমন সাফল্য না পেলেও মিথ্যাবাদীরা সহজেই তাতে সফল হয়। এ পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে ৭৫ ভাগ সত্যবাদী ও ৭৮ ভাগ মিথ্যাবাদী নির্ণয় করা যায়।

৪. ঘটনার নিরবচ্ছিন্নতা ভঙ্গ
সত্যবাদীদের কোনো ঘটনা বর্ণনা করতে বললে তারা তা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে বলতে পারবে। কিন্তু কোনো মিথ্যাবাদীকে ঘটনা বর্ণনা করতে বললে তারা তার মাঝখানে কোনো এক পর্যায়ে গণ্ডগোল করে ফেলবে। আর ঘটনাটির মাঝখানের কোনো একটি পর্যায়কে ভিন্ন দিক থেকে বলতে বললে তারা তাতে ভুল করবে।

৫. প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কথা
মিথ্যা কথার ক্ষেত্রে মানুষ প্রত্যক্ষ কথার বদলে পরোক্ষ কথা বলা শুরু করে। সেক্ষেত্রে ‘জেন টেনিস খেলতে ভালোবাসে’ কথার বদলে বলা হতে পারে ‘জেনের অন্যতম প্রিয় শখ টেনিস খেলা।’ যার অন্যতম উদ্দেশ্য হয় মিথ্যাবাদী তার কথাটি এ থেকে বাদ দিতে চায় (আমি কথাটি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ)।

৬. অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গি
মিথ্যাবাদীর কথার সঙ্গে অঙ্গভঙ্গি নাও মিলতে পারে। সে হয়তো কোনো একটি কথা বলছে কিন্তু তার সঙ্গে তার অঙ্গভঙ্গি না মিললে সেই কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে।

৭. কয়েকটি শব্দ বারবার বলা
মিথ্যাবাদীদের কয়েকটি শব্দ বারবার বলতে দেখা যায়। তাদের মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কয়েকটি কথার ওপর মনযোগ দিতে হয়। এ কারণে তারা বারবার নির্দিষ্ট কয়েকটি কথা বলতে পারে।

আর কোনো একটি প্রশ্ন বারবার করা হলে সত্যবাদীরা বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে কথাটি বলতে থাকবে। কিন্তু মিথ্যাবাদীরা একই শব্দ ব্যবহার করে ঘটনাটি তুলে ধরবে।


(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test