E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী মাসেই করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা 

২০২০ জুন ১২ ১৫:২১:৪০
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী মাসেই করোনা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষা 

প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বহুল পরিচিত ওষুধ কোম্পানি মডার্না করোনাভাইরাসের প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি জানিয়েছে, জুলাই মাসে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে এই ধাপকে চূড়ান্ত পর্ব হিসেবে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের অনুমোদিত কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান টিকা আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় এ ধরনের ৭৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে আরএনএ টিকা নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো প্রথম কোম্পানি। এ টিকা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি। মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে দিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করাই এর লক্ষ্য। এই টিকা তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মর্ডানা।

ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজ-ভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের এই পরীক্ষার লক্ষ্য হবে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট রোগের লক্ষণ সারিয়ে তোলা। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে গুরুতর রোগ প্রতিরোধ করা, যাতে করে মানুষকে হাসপাতালে যেতে না হয়।

মডার্না জানায়, শেষ ধাপের পরীক্ষার জন্য ভ্যাকসিনের ডোজের ১০০ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষা সফল হলে এই ডোজের মাত্রা অনুসারে কোম্পানিটি প্রতিবছর ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে। তবে ২০২১ সালের শুরু থেকে সুইডেনের ওষুধ নির্মাতা লঞ্জার সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

মডার্নার টিকাটি পরীক্ষামূলকভাবে গত মার্চে মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করানো হয়। প্রথম পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক।

যে আট স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা ভাইরাসের বংশবিস্তার ঠৈকিয়ে দিতে সক্ষম। ওই আটজনের প্রত্যেকের শরীরেই করোনাভাইরাসের ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ এমন মাত্রায় তৈরি হয়েছে, যা এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা তার চেয়ে বেশি। নিউট্রালাইজিং অ্যান্ডিবডিগুলো ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেয়, তার মানবদেহে আক্রমণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

(বিপি/এসপি/জুন ১২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test