E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

করোনাতেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি 

২০২০ অক্টোবর ১৩ ১৪:০৩:২১
করোনাতেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি 

প্রবাস ডেস্ক : মহামারি করোনাতে বিশ্বের তৈরি পোশাকের বাজার স্বাভাবিক গতিতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখনো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতেই রয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়। পোশাকের আমদানি ইতিবাচক হতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। চলতি বছরের গত আগষ্ট মাস থেকে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ আগস্টে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। গত সোমবার ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) দেয়া পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

জানা যায়, করোনাকালীন চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসের হিসাবে দেশটিতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসের বিবেচনায় মার্কিন বাজারে নেতিবাচক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিত দিয়েছে চীন, ভিয়েতনাম, ভারতও। ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে ৩৭০ কোটি ডলারের, চলতি বছর একই সময়ে তা নেমে আসে ৩০০ কোটি ৭৩ ডলারে। আর গত বছর আগস্ট পর্যন্ত এই রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪২২ কোটি ৭৪ ডলার, চলতি বছর একই সময়ে এই আয় নেমে এসেছে ৩৬০ কোটি ৩৪ ডলারে।

২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রথম ৭ মাসে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি থেকে যে পরিমাণ আয় করেছে, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে সেই আয় কমেছে ১৮.৭৩ শতাংশ। কিন্তু ৮ মাসের হিসাবে এই ব্যবধান বেশ কমেছে। আগস্ট শেষে এই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ১৪.৭৬ শতাংশে। অর্থাৎ আগস্টে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এক লাফে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কমেছে ৩.৯৭ শতাংশ।

একইভাবে চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসের হিসাবে ভিয়েতনামের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.১৩ শতাংশ, ৮ মাসের হিসাবে তা নেমে এসেছে ৯.৯২ শতাংশে। অর্থাৎ ভিয়েতনাম ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়েছে ১.২১ শতাংশ। একই সময়ের হিসাবে দেশটিতে ভারতীয় পোশাকের রপ্তানি আয়ের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কমে ২৭.৭০ শতাংশ থেকে ২৫.৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে ২.২৩ শতাংশ। চীনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ৪২.৮০ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৪০.৯৩ শতাংশে। অর্থাৎ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পথে চীনের অগ্রগতি ১.৮৭ শতাংশ। তবে মার্কিন পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে থাকা ৫টি দেশের মধ্যে বাজার থেকে আরো ছিটকে গেছে ইন্দোনেশিয়া।

দেশটির নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ১৮.৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯.৬০ শতাংশ। মাসভিত্তিক পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ যেমন এগিয়েছে তেমনি এগিয়েছে মার্কিন পোশাকের বাজার দখলেও। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১ বছরে মার্কিন পোশাক বাজারের ৫.৮৩ শতাংশ দখলে ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু আগস্টে এসে বেড়েছে দাপট। সবশেষ আগস্ট পর্যন্ত ১ বছরের হিসাবে মার্কিন পোশাকের বাজারের ৬.০৩ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশের দখলে। অর্থাৎ বাজার বেড়েছে ০.২০ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৮১২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা (৮.১২ বিলিয়ন ডলার), যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.৮৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের আয়ের অঙ্ক ছিল ৮০৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

মার্কিন বাজার দখলের হিসাবে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে শুধু ভিয়েতনাম। ভিয়েতনামের বাজার বেড়েছে ০.২৫ শতাংশ। ভারতের বাজার বেড়েছে ০.০৯ শতাংশ। একই সময়ে চীনের দখলে থাকা মার্কিন পোশাক বাজারের হিস্যা কমেছে ০.৮১ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার কমেছে ০.৩ শতাংশ। আগস্ট পর্যন্ত মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শীর্ষ ৫টি দেশ যথাক্রমে- চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া। চীনের দখলে রয়েছে ২৮.৬০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১৪.৭৮ শতাংশ, ভারতের ৭.২৭ শতাংশ, বাংলাদেশের ৬.০৩ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার দখলে রয়েছে ৪.৪৮ শতাংশ।

(বিপি/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test