E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ  

২০২১ নভেম্বর ১০ ১৬:১৮:৪৫
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ  

প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পক্ষপাতিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম। নির্বাচন কমিশন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের জেতাতে প্রকাশ্যেই কাজ করছেন। শুধুমাত্র ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম 'এ' প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের এফিডেভিট নামক ফরম পূরণের মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে একটি পরিষদের সভাপতি প্রার্থীর পুরো প্রথম নামই পরিবর্তন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর বাংলা প্রেস।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে বড় সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আগামী ১৪ নভেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন নির্বাচনে নয়ন-আলী ও রব-রুহুল দু'টি পরিষদসহ দু'জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু'টি পরিষদ ছাড়াও সভাপতি পদে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নুল আবেদীন এবং স্বতন্ত্র সাধারন সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন। ১৯টি পদে জন্য মোট ৩৮জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে নয়ন-আলী পরিষদে ১৭ জন এবং রব-রুহুল পরিষদে ১৯ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই স্বতন্ত্র সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল মোমেনকে প্রকাশ্যে আর কেউই দেখেননি নিউ ইয়র্কে। নিউ ইয়র্ক শহরের ৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে দু'টি পরিষদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশঙ্কা করা হলেও নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ্য পক্ষপাতিত্বে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

সূত্রটি জানায়, নির্বাচনে অংশ নেওয়া রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থীর প্রকৃত নাম মোঃ রব মিয়া। বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার তালিকায় তার ভোটার নম্বর ১৭৮৮৫। যুক্তরাষ্ট্রস্থ দ্য গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের গত ২০১৫-২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি মোঃ রব মিয়া নামেই প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি শুধুমাত্র ব্যালট পেপারে তার পছন্দের প্রার্থীর নাম 'এ' প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের এফিডেভিট নামক ফরম পূরণের মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়ার পুরো প্রথম নাম পরিবর্তন করে আবদুর রব মিয়া বানিয়েছেন। কীভাবে মোঃ রব মিয়ার প্রথম নাম মোহাম্মদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টি জানার জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি ও নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়ার সাথে কয়েক দফা টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নয়ন-আলী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন ওরফে কাজী নয়ন সাম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনি রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রব মিয়ার প্রার্থীতা বাতিলের দাবি জানান।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবরে পাঠানো অভিযোগপত্রে কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন উল্লেখ করেন আসন্ন বাংলাদেশ সোসাইটির ২০১৯-২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদুর রব মিয়া সোসাইটির সদস্য পদ লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে আবদুর রব মিয়া প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে রব-রুহুল পরিষদের পক্ষে লিফলেট, পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে গত সাড়ে তিন মাস যাবত নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।

তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, গত ১০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন আবদুর রব মিয়া নামে ব্যালট পেপার বিতরণ করেছে। আসন্ন নির্বাচনে নয়ন-আলী প্যানেলের পক্ষ থেকে তিনি বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্যপদ লাভে ব্যর্থ প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করে নতুন ব্যালট পেপার দিয়ে সোসাইটির সাধারণ সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।

চিঠিতে কাজী নয়ন ভোটদান পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্যানেলভিত্তিক নির্বাচনে এক বাটন চেপে পুরো প্যানেলকে ভোট দেয়ার সুযোগ রাখুন এবং স্ক্রিনের শেষপ্রান্তে ‘এন্টার’ অথবা ‘কনফর্মেশন’ বাটন রেখে ভোট নিশ্চিত করুন।’ পাশের ‘ক্যানসেল’ বাটন উঠিয়ে দিন এবং পরবর্তী পাতার জন্য ‘কন্টিনিউ’ বাটন রাখুন। পরের পাতার পদবীর পাশের ‘অ্যাবস্টেইন’ শব্দটি উঠিয়ে নিলে ভোটারগণ উপকৃত হবেন। সবশেষে বর্তমানের ‘কনফার্ম’ শব্দটি না দিয়ে ‘চেঞ্জ’ শব্দটি রেখে ভোটারদের মন পরিবর্তন করার সুযোগ দিন।’
কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেসকে জানান, বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার তালিকায় আব্দুর রব মিয়া নামে কোনো ভোটারই নেই। তাহলে আব্দুর রব মিয়া কীভাবে প্রার্থী হলেন? এজন্য তার প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন জানিয়েছি।

রব-রুহুল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়া এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান সদস্য না হলে প্রার্থী হলাম কীভাবে? তিনি বলেন, নির্বাচনে সকল নিয়ম মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।

তবে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল আহমেদ জনি এ বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। বাংলা সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান কাজী নয়্নের পাঠানো একটি চিঠি তিনি পেয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখিত বিষয়টি যদি অভিযোগ হয় তাহলে তিনিও একই অভিযোগে তিনিও অভিযুক্ত। কিন্তু আমরা এই অভিযোগটি আমলে নিচ্ছি না। কারণ আব্দুর রব মিয়া নির্বাচন কমিশনে এফিডেভিটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তার নাম মো. রব মিয়া। কিন্তু তিনি আব্দুর রব মিয়া নামে কমিউনিটিতে পরিচিত। একইভাবে কাজী আশরাফ হোসেন নয়নও এফিডেভিটের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে তিনি কাজী নয়ন নামে নির্বাচন করতে চান। এটি একটি বৈধ প্রক্রিয়া। এ কারণে বিষয়টি আমলে নিচ্ছি না।

তিনি উল্লেখ করেন, অতি সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইনসভায় একটি বিল পাস হয়েছে, যেখানে নির্বাচনে প্রার্থীরা ব্যালটে তাদের ডাক নাম বা পরিচিত নাম ব্যবহার করতে পারবেন। এবারের সোসাইটির নির্বাচনে মোঃ রব মিয়া নির্বাচন কমিশনের এফিডেভিট নামক ফরম পূরণ করে আব্দুর রব মিয়া নাম নিয়েছেন। মোঃ রব মিয়াকে যদি আব্দুর রব মিয়া নামে কমিউনিটির সবাই চিনে থাকেন তাহলে কয়েক বছর আগে দ্য গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে কেন তিনি মোঃ রব মিয়া নামেই প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন এর সঠিক জবাব বাংলা সংবাদমাধ্যম দিতে পারেননি নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল আহমেদ জনি।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি পরিবর্তন প্রসঙ্গে জামাল আহমেদ জনি জানান, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সব পদ্ধতি চূড়ান্ত। এখানে ভোটারদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু পরিবর্তনের আর সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সোসাইটির সংবিধান অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমে যে কোন প্রার্থী শুধুমাত্র প্রচারণার ক্ষেত্রে তাদের ডাক নাম ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়া করেছেন আব্দুর রব মিয়া এবং অপর প্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন করেছেন কাজী নয়ন। ব্যালট পেপারে নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রথম বা শেষ নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে সাজানোর কথা। সোসাইটির ইতিহাসে প্রতিটি নির্বাচনেই শেষ নামের প্রথম অদ্যাক্ষর দিয়ে ব্যালট পেপার প্রকাশ করা হয়। শুধু এবারের ঘটেছে ব্যতিক্রম। এবারে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি প্রার্থীদের প্রথম নামের অদ্যাক্ষর দিয়ে ব্যালট পেপার তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। এর নেপথ্য উদ্দেশ্য ছিলো তার মনোনীত সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়াকে আবদুর রব মিয়া বানিয়ে ব্যালট পেপারে 'এ' প্যানেলে নাম অন্তর্ভুক্তির করানো। তিনি সকল পদ্ধতিকেই বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রথম বা শেষ নামের অদ্যাক্ষরকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতই তার মনোনীত সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়ার নাম ব্যালট পেপারে 'এ' প্যানেলে অন্তর্ভুক্তি করেন। মোঃ রবের পুরো প্রথম নামই পরিবর্তন করে আবদুর রব মিয়া বানানোর তিনি প্রধান পরামর্শক বলে জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে কারো নামের কোন অংশ যোগ বা বিয়োগ করতে হলে প্রয়োজনীয় ফি দিযে প্রোবেট কোর্টে (আদালত) আবেদন করতে হয়। বিজ্ঞ বিচারকের আদালতের অনুমতি ছাড়া স্বেচ্ছায় বা কাহারো দ্বারা নামের পরিবর্তন কখনো করা যায় না। এটা একটি দন্ডনীয় অপরাধ।

এদিকে, নয়ন-আলী পরিষদের দুইজন সদস্যকে অকারণে নির্বাচন থেকে দুরে সরিয়ে মামলা করার রাস্তা করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের অপকর্মকে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করে সার্থক হয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারির ৮ তারিখে আদালত থেকে স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পরেও নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি মামলার কারনে নির্বাচন করতে পারছেন না বলে প্রবাসীদের বিভিন্নভাবে ধোঁকাবাজি করেছেন। তিনি কখনই মহামারির অজুহাত উল্লেখ করেন নাই। তিনি কখনো কোন ভালো কাজ করেছেন বলে কোন নজির নাই। গত পাঁচ মাস আগে আদলত মামলাটি নথিপত্রের ভিতর রাখেন নাই ব উক্ত মামলার কোন কার্যকারিতা নাই এটা তিনি জেনেও না জানার ভান করেছেন। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় ক্ষেপণ করে সোসাইটিকে বিরাট ক্ষতির সম্মুখিন মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন জামাল ইউ আহমেদ জনি।

অপর দিকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কোন পরিষদের কেউ মারা গেলে তার পদের যদি আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে তাহলে বিপরিত পার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষনা করার হয়, আসা এ নির্বাচন কমিশনার তাদের মনোপুলি সিদ্ধান্তে তা হতে দেবেন না বলে ঘোষনা দেন। যা সম্পুর্ণ সংবিধান বহির্ভূত।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সম্পুর্ণরুপেই ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি রব-রুহুল পরিষদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নয়ন-আলী পরিষদের মৃত দু'ব্যক্তির জায়গায় নতুন দুই জনকে প্রার্থী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলে। যা নির্বাচন কমিশনার পুরানো নেতৃত্বের লোকজনকে ব্ল্যাকমেল করতেও দ্বিধা করেন নাই। অর্থাৎ নয়ন-আলী পরিষদের প্রার্থীদের তিনি নির্বাচিত ঘোষনা না করে তাদের স্থানে নতুন লোক নিয়ে আসার জন্য অপর প্যানেলকে সবুজ সংকেত দেন। নয়ন-আলী পরিষদের দুইজন বৈধ সদস্যকে আদালত থেকে অনুমতি নাই বলে অংশ নিতে পারবেন না জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ সোসাইটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মনোনয়নপত্র পুরণ নিয়ে একটি প্যানেলের দু’জন সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিলের পর সৃষ্ট অপ্রীতিকর পরিস্থিতি, মামলার কারণে স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ সোসাইটির বহুল আলোচিত এ নির্বাচন আগামী ১৪ নভেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। ব্রঙ্কস, উডসাইড, জ্যামাইকা, ওজোনপার্ক ও ব্রুকলিনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নির্বাচনের আগে কেউ কেউ অনিয়ম ও তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে মামলা করার প্রস্তুতিও রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত মামলা হয় কি না বা আইনি জটিলতায় বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আবার পড়ে কি না, সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত এই আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। যতক্ষণ না নির্বাচন শুরু হচ্ছে এবং শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ বলা যাচ্ছে না নির্বাচন সম্পন্ন হচ্ছে। আরেকটি সূত্র বলছে, নির্বাচনের পরও মামলা হতে পারে। সূত্রটি বলছে, নির্বাচন সম্পন্ন, বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করার পরও কেউ যদি মনে করেন তিনি বঞ্চিত হয়েছেন, তাহলে তার মামলা করার সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে। এ ধরনের শঙ্কা নির্বাচন কমিশনের মধ্যেও রয়েছে। তার পরও মামলার শঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রার্থীরা যেমন অংশ নিচ্ছেন, তেমনি কমিশনও নির্বাচনের আয়োজন করছেন।

(বিপি/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test