E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিতর্কিত ইসির অধীনে সুষ্ঠ হবে না বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন

২০২১ নভেম্বর ১১ ১৫:৩৩:১৮
বিতর্কিত ইসির অধীনে সুষ্ঠ হবে না বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন

প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনকে ভিন্ন পথে প্রভাবিত করার নানা চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বিতর্কিত ও কুখ্যাত এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনির অধীনে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের নানা একচেটিয়া হটকারি সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ সোসাইটি তথা প্রবাসীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর প্রবাসীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নির্বাচন কমিশনের অস্বচ্ছ ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই চলছে নানা আলোচনা। খবর বাংলা প্রেস।

অভিযোগ উঠেছে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি তাদের পছন্দের প্রার্থীদের জেতাতে প্রকাশ্যেই কাজ করছেন। শুধুমাত্র ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম 'এ' প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের এফিডেভিট নামক ফরম পূরণের মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে একটি পরিষদের সভাপতি প্রার্থীর পুরো প্রথম নামই পরিবর্তন করেন।

যূক্তরাষ্ট্রস্থ স্বাধীনতা চেতনা মঞ্চের সাবেক সহ-সভাপতি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম সরকার তার ফেরবুক স্টাটাসে লিখেছেন ১৯৯৫ সালে আমি বৃহত্তর কুমিলার নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। সমিতির রেজিষ্টার থেকে সমস্ত কাজ আমার একক হাতে। সমিতিটাকে আমি অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে গেলাম। এটা বৃহত্তর কুমিল্লার সবাই জানে। হঠাৎ করে একই উপজেলা দাউদকান্দির এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি নামে এই ব্যক্তি সোনালি ব্যাংকে গিয়ে খুঁজে বের করলেন। পরিচয় দিলেন বাড়ি দাউদকান্দি। সে সমিতির সদস্য হল। আমি সে সময় সমিতির জন্য অফিস ভাড়া করেছিলাম। সে অফিসে এসে আমার নিকট বসে থাকত। তখন সে কোন কাজ করতো না। এক বৎসর পর সমিতির নির্বাচন এলো। একই এলাকার লোক হিসেবে সবার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। তখন সে নির্বাচন কমিশনে থাকতে চাইল এবং আমাকে জোর করে অনুরোধ করতে শুরু করল। সংগঠনের কেউ নতুন হিসেবে রাজী হয় না। তারপর ও আমি সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ সোসাইটির মুজিব ভাইকে অনেক বুঝিয়ে তাকে নির্বাচন কমিশনে রাখতে রাজি করলাম।

নির্বাচনও শেষ হল। এর মধ্যে নমিনেশনের টাকার থেকে কিছু টাকা ধার চাইলেন। আমি বললাম আমার মৃত বাবা এলেও আমি এই টাকা দিতে পারব না। তারপর সুজন টাকার জন্য রাত ২টা পর্য্যন্ত বসে রইলেন। জনি ও ছিল। সুজন বলল তার বাসায় খাবার নেই সে ৩ হাজার ডলার ধার চাইল। জনিও সুপারিশ করলেন। আমি দিতে পারিনি। তারপর জনি নিজে জামিন হলেন, তারপর আমি সমিতির টাকার উপর হাত না দিয়ে ভোর ৪টায় আমার ব্যাংক হিসাব থেকে ৩০০ শত ডলার তুলে দেই। জনি নিজে এই টাকার জামিন। কারন তারা দুজন একই বিল্ডিং এ থাকে। সে টাকা আজও আমি পাইনি। জামাল আহমেদ জনি ম্যাকডোনাল্ডে দোকান নিবে। তার ১০,০০০/- হাজার টাকার দরকার। সে আমার সাথে যোগাযোগ না করে সভাপতি ও কোষাধ্যকে রাজি করিয়েছেন। তারা চেকে স্বাক্ষরও করেছেন। কিন্ত আমি সংগঠন ও সংবিধানের স্বার্থে টাকা দিতে পারিনি। তারপর থেকে সে আমার শক্র। সেটা আমি জানতাম না। সভাপতি প্রায় মিটিং এ আমার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিলেন। তারপর কমিটি ডিজলব করে আমি চলে আসি। ঠিক সেই সময় কুমিল্লার একটি বড় প্রকল্প ছিল আমার হাতে। পরিকল্পনাটা ছিল আমার।

আমরা কুমিল্লার সমবায় ব্যাংককে পুন:প্রতিষ্ঠিত করব। কুমিল্লা ভবন হবে। সদস্যদের জন্য ২০০ শত এপার্টমেন্ট করব, সাথে একটি প্রাইমারী ও হাই স্কুল থাকবে, বাচ্চাদের খেলাধুলার মাঠ থাকবে এবং সকল সদস্যদের জন্য কবরের জায়গা করা হবে। চাঁদপুর ও বি- বাড়ীয়া ২ টি অফিস থাকবে। বৃহত্তর কুমিল্লার সমস্ত রেমিটেনস সমস্ত বিদেশ থেকে সমবায় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হবে। বৃহত্তর কুমিল্লার প্রতিটি রেমিটেনস এর টাকা আমরা দ্রুত সবার ব্যাংক হিসেবে পৌছে দেব। সেখানে থাকবে ৩ জন অবসর প্রাপ্ত সিএসপি অফিসার। একটা সংবিধান থাকবে সমস্ত কিছু নিয়ম কানুনের মধ্যে পরিচালিত হবে।

ব্যাংকের মুনাফা থেকে ৫০% টাকা ব্যায় হবে শিক্ষা খাতে। যে সমস্ত এতিম অনাত ছেলে মেয়ে অর্থের অভাবে লেখাপডা করতে পারে না তাদের জন্য। ২০% টাকা ব্যায় স্বাস্হ্য খাতে। যারা টাকার অভাবে চিকিত্সা নিতে পারে ঔষধ কিনতে পারে না তাদের জন্য । আর ৩০% টাকা থাকবে সাধারন সদস্যদের জন্য। তার উপর ভিওি করে ১০০০/- ডলার করে ২০০ শত শেয়ার বিক্রি করি।

আজ আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি সদস্য কোটি টাকার মালিক হত এবং বৃহওর কুমিল্লা সর্ব দিকে এগিয়ে যেত। অনেক কর্মসংস্হান হতো এবং কুমিল্লারও অনেক উন্নয়ন হতো। পরবর্তী পয্যায়ে নিউ ইয়র্কে কুমিল্লা ভবন খরিদ করা হল। এটাকে চুষে চুষে খেয়ে অবশেষে বিক্রি করে শেয়ারের টাকা না দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাত করে সমিতির টাকায় গাড়ী ও বাড়ী ক্রয় করেন। আমি অনেক কষ্ট করে সমিতির জিরো তহবিলে ২০,০০০/- ডলার রেখে এসেছিলাম। সেখানে আজ জিরো ব্যালেনস এ জামাল আহমেদ জনি ধান্দাবাজী করে কুখ্যাত কোটিপতি এনামুল মালিককে টেনে আনেন এবং তার অর্থ চেটে চেটে খান, তাকে সভাপতি নির্বাচিত করে ট্রাস্টী বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। বৃহওর কুমিল্লার নির্বাচনে এই কুখ্যাত জামাল আহমেদ জনি ও মরহুম শাহ আলমের মাধ্যেমে নির্বাচন ছাড়া কামালকে বৃহত্তর কুমিল্লার সভাপতি ঘোষনা দেন। আমি ছিলাম প্রার্থী। কুমিল্লাবাসী মামলা করার পর কুখ্যাত নাজির সিনহাকে টাকা দিয়ে কোর্টের মেইল বন্দ রাখেন। ঐ নাজির সিনহা আমাদের ল ইয়ারের সাথে কাজ করত। আমরা সেটা বুঝতে পারিনি কুখ্যাত নাজির সিনহা টাকার লোভে এত বড সর্বনাশ করবে। তারপর জামাল আহমেদ জনির নেতৃত্বে বিনা ভোটে ও বিনা নির্বাচনে কামাল আহমেদ সভাপতি হন। তারপর মজার বিষয় হল আজ দীর্ঘ দিন ধান্দাবাজ জামাল আহমেদ জনি ও কামাল বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি থেকে বহিস্কার। তারপর আমি দাউদকানদি সোসাইটি গঠন করার কয়েক মাস পর আরেকটা দাউদকানদি সোসাইটি গঠন করেন। বৃহত্তর কুমিল্লা থেকে বহিস্কার হওয়ার পর কুমিল্লা জেলা সংগঠনে এক ডজন সংগঠন তৈরী করেন। তারপর রুপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশনে ফাটল ঝরাতে গেল এক থাপ্পরে ময়লা পানিতে পরে যান। সেখানে সফল হতে পারেননি। তারপর দাউদকানদি যে সংগঠন তৈরী করেছিলেন সভাপতির সাথে মতানৈক্য হওয়া ঐ সংগঠন ভেংগে আরেকটি সংগঠন তৈরী করেন। এখন দাউদকানদি ৩টি সংগঠন।
এগুলো সব কুখ্যাত জামাল আহমেদ জনি ধান্দাবাজের জন্য। এগুলো গল্প নয় বাস্তবতা। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কি করে বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পায়, সেটা আমার নিকট বোধগম্য নয়। যার নিজ জেলা ও উপজেলা সংগঠনে কোন স্হান নেই, সেই বিতর্কিত ব্যাক্তিকে নিয়ে সবার মুখে বিতর্ক। জানতে পারলাম বাংলাদেশ সোসাইটিতে ২জন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন আব্দুল খালেক (খায়ের) সহ-সভাপতি ও অন্যজন হলেন আজাদ বাকের সহকারী সাধারন সম্পাদক। তাদের সংবিধান অনুযায়ী নিয়ম হল ২পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নমিনেশন পত্র সংগ্রহ করা। এটা সবাই জানে। এটা বিতর্ক থেকে মুক্ত থাকা ও সত্যি কারের সংবিধানকে শ্রদ্ধা করা। জামাল আহমেদ জনি ব্যক্তিগত ভাবে ২ জন লোককে মনোনীত করেন, এটা জনমনে বিরাট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তার বিধিবদ্ধ নিয়ম নীতি সবাই জানতে চায়? কোন সংবিধান মোতাবেক জনি মনোনয় দিয়েছেন এটা সবাই জানতে চায়? এটা গৌরিপুরের সংবিধান দিয়ে চলবে না মি: দানব জামাল আহমেদ জনি। বাংলাদেশ সোসাইটির সকল সদস্য সদস্যার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এই ধান্দাবাজ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না এবং হবে না আমি ১০০% গেরান্টি দিতে পারি।এই ধান্দাবাজ জনি রব-রুহুল পরিষদের সাথে আতাত করে নির্বাচনে বিজয়ী করার অংগীকার নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িও নিয়েছেন।

ইতিমধ্যে তার প্রমাণও পেয়েছেন। কার ইংগিতে এই মামলা মোকাদ্দমা? কারন মামলা মোকাদ্দমা হল পয়সা চুরির একটা বিরাট পথ। ভাউচার বানাতে সহজ পথ। টাকা অর্জন, অন্য দিকে ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থাকা এবং ছিলও। যে লোকটির অতীত ইতিহাস এত খারাপ তার প্রতি আপনারা কি ভাবে বিশ্বাস রাখবেন। তার অতীত ইতিহাস দেখুন। আমি পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি। জনি সমস্ত অবৈধ অর্থ হজম করার জন্য যে কোন কৌশলে রব রুহুল প্যানেলকে জয়ী করাবে। জনি কেন তাদের জোরে, কলা-কৌশলে তাদের পাশ করাবে তার অন্যতম কারন হল সে আগামী দিনে তাদের সমর্থনে ট্রাক্টী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবে। তার কৌশল গুলো সবাইকে জানতে হবে, তার প্রেক্ষিতে এগুতে হবে। আমি মনে করি জামাল আহমেদ জনিকে প্রধান নির্বাচন কমিশন থেকে বহিস্কার করতে হবে তা ছাড়া ১০০% নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না হতে পারে না বর্তমান কমিটি জনির হাতে, তাদেরকে দিয়ে কিছু হবে না তাই সাধারন সদস্যদের স্বাক্ষরে তাকে বহিস্কার করতে হবে। আমি আবারো বলছি তার নেতৃত্ত্বে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।

নিউ ইয়র্কের সবচেয়ে বড় সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আগামী ১৪ নভেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন নির্বাচনে নয়ন-আলী ও রব-রুহুল দু'টি পরিষদসহ দু'জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দু'টি পরিষদ ছাড়াও সভাপতি পদে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নুল আবেদীন এবং স্বতন্ত্র সাধারন সম্পাদক পদে আব্দুল মোমেন। ১৯টি পদে জন্য মোট ৩৮জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে নয়ন-আলী পরিষদে ১৭ জন এবং রব-রুহুল পরিষদে ১৯ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই স্বতন্ত্র সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল মোমেনকে প্রকাশ্যে আর কেউই দেখেননি নিউ ইয়র্কে। নিউ ইয়র্ক শহরের ৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে দু'টি পরিষদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশঙ্কা করা হলেও নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ্য পক্ষপাতিত্বে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থীর প্রকৃত নাম মোঃ রব মিয়া। বাংলাদেশ সোসাইটির ভোটার তালিকায় তার ভোটার নম্বর ১৭৮৮৫। যুক্তরাষ্ট্রস্থ দ্য গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের গত ২০১৫-২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি মোঃ রব মিয়া নামেই প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি শুধুমাত্র ব্যালট পেপারে তার পছন্দের প্রার্থীর নাম 'এ' প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের এফিডেভিট নামক ফরম পূরণের মাধ্যমে অত্যন্ত সুকৌশলে রব-রুহুল পরিষদের সভাপতি প্রার্থী মোঃ রব মিয়ার পুরো প্রথম নাম পরিবর্তন করে আবদুর রব মিয়া বানিয়েছেন। কীভাবে মোঃ রব মিয়ার প্রথম নাম মোহাম্মদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টি জানার জন্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান এসএম জামাল ইউ আহমেদ জনি ও নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ এ হাকিম মিয়ার সাথে কয়েক দফা টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

(বিপি/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test