E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমেরিকায় নতুন সংগঠন ইডিপি’র যাত্রা শুরু

২০১৫ এপ্রিল ১৭ ১৯:০০:৪৬
আমেরিকায় নতুন সংগঠন ইডিপি’র যাত্রা শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউইর্য়কে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী অলাভজনক সংগঠন হিসাবে ইমপাওয়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ইডিপি) বা আত্মশক্তি উন্নয়ন প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো।

১২ এপ্রিল রবিবার দুপুরে জ্যাকসন হাউটসের ৩৫-২৭, ৮৮ স্ট্রিটের একটি ভবনে সংগঠনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মূলত, বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচী গ্রহন করে হতাশাগ্রস্তদের মাঝে আত্মশক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে অদক্ষ জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করায় হবে এ সংগঠনটির মূল্য লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কাজ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন (ইপিডির) নির্বাহী পরিচালক ফ্যাশান ডিজাইনার আম্বিয়া বেগম অন্তরা। এই সময় ইডিপির পরিচালক নাইজার এফ নুর এবং জেসন রবার্ট গ্রেভস সংগঠনটির অগ্রযাত্রায় সকলের সহযোগিতা, সমর্থন ও শুভ কামনা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।

মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরও বক্তব্য দেন, বিশিষ্ট অভিনেতা আহমেদ শরীফ, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব সোলাইমান ভুঁইয়া, সিপিএ সারোয়ার চৌধুরী, শিশু সাহিত্যিক ও বাপসনিউজ এর চেয়ারম্যান হাসানুর রহমান, আমেরিকান প্রেসক্লাব অব বাংলাদেশ অরজিন সংবাদিক সভাপতি হাকিকুল ইসলাম খোকন, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস সভাপতি শাহ শহিদুল হক সাঈদ, আমেরিকার নিউজার্সির কমিশন অথরিটি সমাজসেবক দেওয়ান বজলু চৌধুরী, সাপ্তাহিক আজকাল নির্বাহী সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, কুষ্টিয়া জেলা সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সমাজে সেবক আসাদুজ্জামান আসাদ, এনজিও গবেষক আনিসুর রহমান, আমেরিকান-বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি খাঁন শওকত, সাপ্তাহিক আজকাল’র সাংবাদিক আনিসুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক মিনা ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত কল্পনা বেগম, রোকসানা বেগম, হেলেন পারভীন, মীর হোসোইন, বাবু, ডলি শওকত, ফারহানা চৌধুরী, রওশন চৌধুরী এবং সংগীত শিল্পী ও কম্পোজার অনুপ কুমার। অনুষ্ঠানে ইডিপির নির্বাহী পরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, এটা তার শৈশবের লালিত স্বপ্ন ছিলো। বঞ্চিত অবহেলিত অদক্ষ মানুষের জন্য নিজের মেধা, সততা ও মননকে উৎসর্গ করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তার দীর্ঘদিনের। তাই ছোটবেলা থেকে মানবিক কাজে অংশ নেওয়া, গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে লেখাপড়া শেখানো ছিলো তার কাজ। ০৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, জীবনে যদি কখনো কিছু রোজগার করি তাহলে তার সিংহভাগ অর্থ অবহেলিত মানুষের জন্য ব্যয় করবো।

তিনি বলেন, সেই লক্ষে এই প্রতিষ্ঠানটি ভাষা, কম্পিউটার, টেইলারিং, ফ্যাশান ডিজাইনিং, ক্ষুদ্র ব্যবসা, রন্ধন প্রণালী, রেষ্টুরেন্ট ক্যাটারিং, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালামূলক কাজ করবে। ৫০ ডলার ভর্তি ফি দিয়ে যে কোন ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদপত্র বা লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

আম্বিয়া বেগম অন্তরা বলেন, তাঁর এই কর্মকাণ্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ও দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কেননা- প্রতিষ্ঠানটি হস্তশিল্পে এবং কারিগরি ক্ষেত্রে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অদক্ষ নারী পুরুষ, তরুণ তরুণীদের দক্ষ করে গড়ে তুলে আত্মনির্ভরশীল সমাজ গঠনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে।

এ সময় উপস্থিত অতিথিরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই সংগঠনটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এবং সমাজ বদলের অঙ্গীকার করে যাত্রা শুরু করেছে। সংগঠনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সকলকে আকৃষ্ট করেছে। সকলেই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠায় এবং আগামীর পথযাত্রায় সহযোগিতার হাত বাড়াবেন বলে আশ্বাস দেন।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৭, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test