E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি’

২০১৬ মার্চ ২৫ ১৫:৪১:৩১
‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি’

নিউইয়র্ক থেকে এনা : বাংলাদেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন যে বীর সেনানী তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। আজকে সেই সব বীর সেনানী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে উদযাপনের আয়োজন করতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি।

আমাকে এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন কুইন্সে বসবাসকারি বাংলাদেশী-আমেরিকান কম্যুনিটি। ‘বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেস ডে সেলিব্রেশন’ ব্যানারে আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাটজ এসব কথা বলেন।

গত ২৪ মার্চ (নিউইয়র্ক সময়) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুইন্স বরো হল মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেস ডে সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠান। কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাট্জ’র সৌজনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভার শুরুতেই বাংলাদেশ ও আমেরিকান জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। এদের সাথে মহান স্বাধীনতার বীর সেনানি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে বাংলাদেশ ও আমেরিকান পতাকা উত্তোলনে ছিলেন বাংলাদেশীসহ ভিন্ন জাতিগোষ্ঠির স্কাউটসরাও। গার্ড অব অনার দিয়ে দু’দেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে পতাকাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন বাংলাদেশী প্রজন্মের শিল্পীরা। এরপর প্রথমেই আসসালামু আলাইকুম বলে শুভেচ্ছা বক্তব্য শুরু করেন মেলিন্ডা ক্যাটজ। তার দ্বিতীয় শব্দ ছিল ‘বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেস ডে সেলিব্রেশন’। সবাই একযোগে প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা ক্যাট্জের সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উদযাপন করেন তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে।

কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট বলেন, আজকে আমি এই অনুষ্ঠানটির অংশীদার হতে পেরে খুবই আন্দিত। গেল কয়েক বছর ধরে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে আসছি। তবে, এটা আমার একার উদ্যোগ নয়, কুইন্সের বাংলাদেশী কমিউনিটির কঠোর পরিশ্রম ও তাদের স্বদিচ্ছার ফসল। এসময়ে বাংলাদেশি প্রজন্ম লাল-সবুজের পতাকা খচিত পোষাক পরে দেশের সংস্কৃতির চর্চাকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন বলেও দাবি করেন মেলিন্ডা ক্যাটজ।

বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, আজকে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’ পালিত হচ্ছে। এই তো গেল মাসে আমি ম্যানহাটনে জাতিসংঘের সামনে দিবসটি পালনে সবার সাথে অংশ নিয়েছি। অনেকটা রসিকতার ছলে বলেন, ম্যানহাটন কেন নিউইয়র্কের সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশীর বাস কুইন্সে, আগামিতে কুইন্সেই ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে’ পালিত হবে। আমি এ নিয়ে কাজ করছি।

কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে কর্মকর্তা গায়ানিস বংশেদ্ভূত আমেরিকান মোহাম্মদ হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেমন্তী ওয়াহিদ। অনুষ্ঠানে শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আমেরিকান মুসলিম সেন্টারের ইমাম মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এছাড়াও গীতা ও বাইবেল পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল শামীম আহ্সান, লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসসহ কমিউনিটি নেতারা। কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহীম হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, বদরুন নাহার খান মিতা, ওসমান চৌধুরী’সহ অনেকে। এছাড়াও সাংবাদিক ও কলামিস্ট নিনি ওয়াহেদ, অধ্যাপিকা হুসনে আরাসহ প্রবাসের বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা।

এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য ৩ জন বাংলাদেশিকে বরো প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক (প্রোকলেমেশন) দেয়া হয়।


(ওএস/এএস/মার্চ ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test