নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

হাকিকুল ইসলাম খোকন : নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় ৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। দিনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, ২৬ মার্চ ২০১৬ কনস্যুলেট এ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

কনস্যুলেট মিলনায়তনে ২৯ মার্চ ২০১৬ সন্ধ্যায় একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, এনডিসি তার স্বাগত বক্তৃতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে নিউইয়র্কবাসীদের বিশেষ করে মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে জর্জ হ্যারিসন, রবি শংকরসহ অন্যান্য পপ তারকার ”কনসার্ট ফর বাংলাদেশ” স্বাধীনতা সংগ্রাম বেগবান করতে যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল তা বিশেষভাবে তুলে ধরেন।খবর বাপসনিঊজ।

জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, প্রভাবশালী কংগ্রেসউইমেন ক্যারোলিন বি মেলোনি (Carolyn B. Maloney, New York-D), কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজ (Melinda Katz) সহ আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্য থেকে কয়েকজন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল দ্য ব্লাজিও (Bill de Blasio), নিউইয়ক স্টেট গভর্নর এন্ড্রু এম কিউমো (Andrew M. Cuomo) এবং নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলার স্কট এম. স্ট্রিংগার (Scott M. Stringer) কর্তৃক প্রেরিত অভিনন্দন বার্তা তাদের প্রতিনিধিরা পাঠ করেন। পরে অতিথিরা দিবসটি উদযাপনের জন্যে কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল এবং কূটনীতিক, নিউইয়র্ক ও অন্যান্য স্টেটের প্রতিনিধি, কংগ্রেশনাল স্টাফ, থিংক-ট্যাংক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

(ওএস/এএস/মার্চ ৩১, ২০১৬