E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মরহুম সাদেক খান-এর সার্বজনীন স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

২০১৬ মে ৩১ ১৩:১৩:৪৩
মরহুম সাদেক খান-এর সার্বজনীন স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

হাকিকুল ইসলাম খোকন :২৯ মে রবিবার নিউইয়র্কের জ্যাকশন হাইট্সের ইত্যাদি রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক সাদেক খান স্মরণ সভা কমিটির পক্ষ্য থেকে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ত্ব করেন স্মরণ সভা কমিটির আহবায়ক আতিকুর রহমান সালু ও পরিচালনা করেন সদস্য সচিব প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট মঈনুদ্দিন নাসের, ফারাক্কা কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ টিপু সুলতান, এক্টিভিষ্ট আলী ইমাম সিকদার, মোহাম্মদ হোসেন খান, খন্দকার ফরহাদ, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি আবু তালেব চান্দু, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন প্রমূখ, সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশের সম্পাদক ডাঃ ওয়াজেদ এ খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল হক মিলন, রফিকুল ইসলাম ডালিম,এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, এমএ সিদ্দিক পল্লব, আকতার হোসেন সহ নিউইয়র্কের সর্বস্তরের ব্যাক্তিবর্গ। সৈয়দ টিপু সুলতান তার বক্তৃতায় বলেন যে, “তিনি ছিলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী”। সাংবাদিক মঈনউদ্দিন নাসের বলেন যে “বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী জনাব সাদেক খানের মৃত্যুতে জাতি হারাল এক বিজ্ঞ বুদ্ধিজীবি”। এক্টিাভিষ্ট আলী ইমাম বলেন,“ তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাবিভুত”। মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, “সাদেক খান আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস”। কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন স্মৃতিচারণ করে বলেন,“তার জীবদ্দসায় আরেকটি জীবনধর্মী চলচিত্র নিমার্ণ করার অনুরোধ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন, কিন্তু সময় তাকে সে সুযোগ দিল না। আবু তালেব চান্দু বলেন, “তার প্রতিভার কথা বলে শেষ করা যাবে না”।

সভাপতির ভাষনে আতিকুর রহমান সালু সাদেক খানের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরে বলেন, “তিনি ছিলেন বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী। ভাষা সৈনিক, মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক, চলচ্চিত্রের নায়ক, পরিচালক, প্রযোজক, লেখক, কলামিস্ট ও পানি বিশেষজ্ঞ। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির উপদেষ্টা। সংগঠনের আর্সেনিক সমস্যা ও নদী-পানির বিষয়ে ফারাক্কা কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় দলিল প্রচারে তার ছিল অসামান্য অবদান। তিনি ছিলেন সজ্জন, বিনয়ী ও অমায়িক ব্যাক্তি। তিনি জাতীয় নেতা ছিলেন না, কিন্তু ছিলেন জাতীয় ব্যাক্তিত্ব। তার ক্ষুরধার ব্যাক্তিত্ব জাতিকে দিয়েছে দিক নির্দেশনা। তিনি ছিলেন হিংসার বিপরীতে সহমর্মিতার প্রতীক। স্বাধীনতা অর্জনে তার ভুমিকা যেমন ছিল অসামান্য, তেমনি তার লেখনী বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষার জন্যেও জাতীকে অনুপ্রেরণা যোগাবে”।




(এইচআইকে/এস/মে ৩১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test