E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মহাশূন্যে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ!

২০১৪ এপ্রিল ০২ ১৯:৩৪:১৬
আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মহাশূন্যে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ!

নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে পৃথিবীর চারপাশ জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। যোগাযোগ, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা- সব ক্ষেত্রেই এখন সহযোগিতা লাগে কৃত্রিম উপগ্রহের। আর আগামী ৭ বছরের মাঝে মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মহাকাশে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ৷ এজন্য বেশ কয়েক বছর ধরে কার্যক্রম চলছে৷ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ নামে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি৷ Dhaka Tribune এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিটিআরসি চলতি মাসের ৯ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ে স্যাটেলাইট প্রকল্পের একটি ‘বিজনেস প্ল্যান' উপস্থাপন করেছে৷ এতে বলা হয়, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে বাংলাদেশ প্রতি বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারবে৷

বাংলাদেশের ২৪টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ভাড়া বাবদ বিদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানিকে প্রতি বছর এই অর্থ দিয়ে থাকে৷ এছাড়া বিটিআরসি বলছে, স্যাটেলাইট প্রকল্প থেকে যে অর্থ আয় হবে তার ৭০ ভাগ আসবে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট ভাড়া হিসেবে৷ উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট রয়েছে৷ তবে বিটিআরসি মনে করে, ঐ দুটি দেশের আরও চাহিদা রয়েছে৷ তাছাড়া নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের কাছ থেকেও অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখছে বিটিআরসি৷ এভাবে অর্থ আয়ের কারণে বিটিআরসি মনে করছে, বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের সাত বছরের মধ্যে প্রকল্পটিব্রেকইভেন পর্যায়ে পৌঁছবে৷পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩,২৪৩ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে বিটিআরসি দেবে ১,৫৫৫ কোটি টাকা৷ আর বাকিটা আসবে বিদেশি উৎস থেকে৷ ছয়টি আন্তর্জাতিক ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটিতে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গেছে৷ স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য রুশ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১১৯ ডিগ্রি ইস্ট'এ একটি অর্বিটাল স্লট কিনবে বিটিআরসি৷ এক্ষেত্রে ১৫ বছরের জন্য খরচ হবে ২২ কোটি টাকা৷

(ওএস/এটি/এপ্রিল ০২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test