E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চুম্বকের সাহায্যে চলবে ট্রেন!

২০১৪ মে ০৯ ১৩:৪৭:৩৪
চুম্বকের সাহায্যে চলবে ট্রেন!

আন্তজার্তিক ডেস্ক : লাইন ছাড়া ট্রেন চলাচল করতে পারে না। তবে লাইন স্পর্শ না করেই চলবে ট্রেন এমন কথা অবাক করার মতো। ট্রেনটি চলবে চুম্বকের সাহায্যে।

প্রচলিত ধারণাকে এবার পাল্টে দিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী। ট্রেন চলতে এখন আর চাকাকে লাইন স্পর্শ করতে হবে না। চুম্বকের সাহায্যেই এটি এগিয়ে চলবে চোখের পলকে। পৌঁছে যাবে গন্তব্যে।

এ ধারণা নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম। বিশ্বের সেরা ১০০ জন বিজ্ঞানীর একজন তিনি।

আতাউল করিম আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ার নরফোকে অবস্থিত ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার এ সাফল্যে মুগ্ধ বিশ্ব। তার এ নতুন ধারণা মার্কিন গণমাধ্যমেও করে প্রচারিত হয়েছে।

জানা গেছে, ওল্ড ডোমিনিয়ন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বিগত ৭ বছর ধরে এ ধরনের একটি ট্রেন তৈরির গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য ফেডারেল প্রশাসনের বিপুল অর্থও ব্যয় করেন তারা।

কিন্তু তাতে সফলতার কাছাকাছি যেতে পারেননি তারা। অবশেষে ২০০৪ সালে এ গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন ড. আতাউল করিম। মাত্র দেড় বছরে ট্রেনটি নির্মাণে সক্ষম হন তিনি।

গবেষণাটি পরীক্ষামূলক সফলতা পেয়েছে। এখন শুধু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চালু করার কাজ বাকি।

জার্মান, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি বেগের ট্রেন আবিষ্কৃত হয়েছে অনেক আগেই। এসব ট্রেনে প্রতি মাইল লাইনের জন্য গড়ে খরচ ১১০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ড. করিমের আবিষ্কৃত এ ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১২/১৩ মিলিয়ন ডলার। ট্রেনটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। ট্রেনটির বৈশিষ্ট্য হলো স্টার্ট নেয়ার পর লাইনে আর স্পর্শ করবে না।

ড. করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করে ৩০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এরপর পদার্থ বিজ্ঞানে এম.এস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এম.এস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। আলাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে তার ডিগ্রিগুলো সম্পন্ন হয়।

এরপর পেশাগত জীবন শুরু করেন ড. করিম। মেধা ও যোগ্যতাবলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের মেধাসম্পন্ন অন্তত ৬০০ ফ্যাকাল্টিতে ৫০০০ গবেষক-ছাত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে ৬টি কলেজ, ২০টি গবেষণাকেন্দ্র, ৬ শত শিক্ষক এবং ৫ হাজারের উপরে গ্রাজুয়েট ও আন্ডার-গ্রাজুয়েট ছাত্রছাত্রী ড. করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।

(ওএস/এটি/মে ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test