E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধাতু খেকো এক বিচিত্র গাছ!

২০১৪ মে ১৩ ১৪:১৪:১১
ধাতু খেকো এক বিচিত্র গাছ!

নিউজ ডেস্ক : কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হয়ে গেছে! বদলানো এমন আর কি কষ্টের! নতুন একটা কিনে বদলে নিলাম। আর পুরোনোটা? দিন কয়েক পড়ে রইলো টেবিলের নিচে।

তার পর হয় বাড়ির কেউ সেটা ফেলে দিলেন ডাস্টবিনে। সেখান থেকে টোকাই তুলে নিয়ে সেটা থেকে বিক্রয়যোগ্য তামা এ্যলুমিনিয়াম এবং লোহার কিছুটা খুলে নিয়ে বাকিটা ফেলে দেয় মাটিতে।

কখনো ভেবেছেন কি, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে থাকা কপার বা তামা বিভিন্ন পার্টসে ব্যবহৃত লোহা এ্যলুমিনিয়াম রিসাইকেল না হয়ে মিশে যাচ্ছে মাটিতে। এটা শুধু একটা মাত্র উদাহরণ, এমন অনেক ভারী ধাতু প্রতিনিয়ত মিশে যাচ্ছে মাটিতে। নিকেল, কপার, এ্যলুমিনিয়াম, আয়রন মাত্রারিক্ত মিশে মাটি হয়ে উঠছে বিষাক্ত। আর এ বিষাক্ততা গাছ শুষে নিচ্ছে আমরা পাচ্ছি বিষাক্ত ফলমূল।

কেমন হয় যদি যদি এমন কোনো ছাঁকনি পাওয়া যায় যা এমন সব ভারী ধাতু মাটি থেকে শুষে নেবে কিন্তু সেটা বিষাক্ত হবে না! হ্যাঁ, এমনই এক উদ্ভিদের দেখা পাওয়া গেছে ফিলিপাইনের পশ্চিমের লুসান আইল্যান্ডে।

লুসান দ্বীপ তার মাটিতে মিশে থাকা ভারী ধাতুর জন্য বেশ পরিচিত। Edwino S. Fernando, pensoft.net এ উদ্ভিদ নিয়ে গত ৯তারিখ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। Rinorea niccolifera প্রজাতীর এ উদ্ভিদ ১৮,০০০পিপিএম ধাতু তার পাতায় ধারণ করতে পারে নিজেকে বিষাক্ত না করেই। যা সাধারণ উদ্ভিদের চেয়ে ১০০ থেকে ১০০০গুন বেশি। পৃথিবীতে মাত্র এক শতাংশ এমন উদ্ভিদ যেখানে ভারী ধাতু মাটিতে মিশে আছে, জন্মে থাকে। তাদের শরীরেও এত বেশি ধাতু ধারণ ক্ষমতা নেই।

যেখানে মাটিতে এমন সব ভারী ধাতু মিশে আছে সেখানে মাটির অতিরিক্ত ধাতুমুক্ত করতে অথবা গ্রীন মাইনিং বা পরিবেশ বান্ধব খনি উত্তোলণে এ উদ্ভিদের ব্যবহার বদলে দিতে পারে পরিবেশের পুরো চিত্রপট।

(এটি/মে ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test