E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খোঁজ মিলেছে ডাইনোসরের নতুন প্রজাতি!

২০১৪ মে ১৮ ১৪:২১:০৯
খোঁজ মিলেছে ডাইনোসরের নতুন প্রজাতি!

নিউজ ডেস্ক : যে প্রাণীর দেহ ৩০ ফুট দীর্ঘ, তাকে মোটেই ছোটখাট বলা চলে না। তবে আর্জেন্টিনায় সম্প্রতি ওই আকৃতির যে জীবাশ্মটি পাওয়া গেছে, তাকে ডাইনোসরের মাপে ছোটই বলতে হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্মে পরিণত হওয়া ওই দেহাবশেষ লম্বা গলার জন্য বিখ্যাত তৃণভোজী সাওরাপোডা গোত্রের এক ডাইনোসর পরিবারের সদস্যের, ১৪ কোটি বছর আগে যারা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থলচর প্রাণী।

সাওরাপোডা গোত্রের ডিপ্লোডোসিড্স পরিবারের ডাইনোসরদের মধ্যে এ জাতের সদস্যরাই আকৃতিতে সবচেয়ে ছোট। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘লাইংকুপাল লাৎসিকুডা’। এই ডাইনোসরের গণ নাম লাইংকুপাল-এর অর্থ হলো ‘বিলীয়মান পরিবার’। আর প্রজাতি নাম লাৎসিকুডার অর্থ হলো ‘লম্বা লেজের অধিকারী’। অর্থাৎ, এ জাতের ডাইনোসরের যে নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন, তার মানে দাঁড়ায় ‘লম্বা লেজের বিলীয়মান পরিবার’।

মূলত উত্তর অ্যামেরিকায় এদের বিচরণ থাকলেও এই প্রথম দক্ষিণে এ ধরনের ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেল। সে সময় উত্তর অ্যামেরিকায় যে প্রজাতির ডাইনোসরের রাজত্ব ছিল, আজকের মানুষ তাদের চেনে টিরেনোসরাস রেক্স নামে।

আর্জেন্টিনার এই গবেষক দলের অন্যতম সদস্য পাবলো গাইনা বলেন, আর্জেন্টিনায় ডিপ্লোডোসিডসের ফসিল পেয়ে যাওয়াটা একেবারেই অভাবনীয়। এটা অসাধারণ এক আবিষ্কার।

এই দলের আরেক গবেষক সেবাস্টিয়ান আপেস্টেগুইয়া বলেন, এক দানব বংশের বামন সদস্যের ফসিল তারা আর্জন্টিনায় খুঁজে পেয়েছেন।

এ ধরনের ডাইনোসরের ওজন কত ছিল তা আমাদের জানা নেই। তবে যেসব হাড়গোড় আমরা পেয়েছি তা থেকে অনুমান করার চেষ্টা করা যায়। এদের দেহের মূল কাঠামোর একটি বড় অংশই হলো লেজ আর গলা, হাড়গুলোও হালকা। সব মিলিয়ে এদের ওজন একটা হাতির চেয়ে বেশি হওয়ার কথা না।

লম্বা গলা আর লেজ, বিরাট শরীর আর থামের মতো পায়ের এই ডাইনোসর পরিবারের অন্য কয়েকটি প্রজাতি দক্ষিণ অ্যামেরিকায় বিচরণ করতো আরো প্রায় ৫ কোটি বছর পর। ১০০ ফুট দৈর্ঘের এসব ডাইনোসরের ওজন হতো ৯০ টন পর্যন্ত। সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে অন্যান্য ডাইনোসরের সঙ্গে এ সব প্রজাতিও বিলুপ্ত হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাওরাপোডা গোত্রের বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে ডিপ্লোডোসিডসরাই ছিল সবচেয়ে ক্ষীণ দেহের অধিকারী। এদের পেছনের পা ছিল সামনের চেয়ে কিছুটা দীর্ঘ। গলা ছিল শরীরের তুলনায় দীর্ঘ এবং লেজ ছিল চাবুকের মতো, যা লড়াইয়ের সময অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতো তারা।

ওই সময়টায় উত্তর অ্যামেরিকা ভৌগলিকভাবে ছিল দক্ষিণ থেকে পুরোপুরি আলাদা। আর দক্ষিণ অ্যামেরিকাকে আফ্রিকা থেকে আলাদা করে রেখেছিল অ্যাটলান্টিক মহাসাগর।

আর্জেন্টিনার নিউকোয়েন প্রদেশের পাতাগোনিয়া এলাকায় যেখানে লাইংকুপাল ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া গেছে, সেই এলাকায় ২০১০ ও ১০১২ সালেও বিভিন্ন ডাইনোসর প্রজাতির দেহাবশেষ খুঁজে পান গবেষকরা।

(এটিআর/মে ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test