E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে!

২০১৬ মার্চ ০৭ ১০:১৫:১৮
মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে!

নিউজ ডেস্ক : সৌরজগতের লাল গ্রহ মঙ্গল একসময় এমন রক্তবর্ণের ছিল না। কয়েকশ’ কোটি বছর আগে সেখানে বইতো পানি। এমনকি ঝড়-বৃষ্টিও হতো সেখানে। তুষারে আবৃত হতো মঙ্গলের পৃষ্ঠ। গ্রহটিতে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি ও সেখান থেকে লাভা উদগীরণের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এমন সিদ্ধান্তে পৌছেছেন বিজ্ঞানীরা। খবর দি গার্ডিয়ানের।

গবেষকেরা জানান, ধীরে ধীরে একসময় বিবর্ণ হয়ে ওঠে সজীব এই গ্রহটি। বছরের পর বছর ধরে ক্রমেই মাটির নিচে চাপা পড়ে সব। অবশ্য কী কারণে মঙ্গলের এমন পরিণতি সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। গেল সেপ্টেম্বরে গ্রহটিতে তরল পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দেয় নাসা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্ল্যানেটারি সায়েন্স বিভাগের পরিচালক জিম গ্রিন বলেন, ‘এতদিন ভাবা হত মঙ্গল একটি শুষ্ক গ্রহ। কিন্তু তা নয়, মঙ্গলে বিশেষ পরিবেশে তরল পানির সন্ধান মিলেছে। এর অর্থ মঙ্গলে এখনও প্রাণের উদ্ভবের পরিবেশ রয়েছে।’ তবে কোথা থেকে কীভাবে পানি এল সে বিষয়ে সেবার বিস্তারিত কিছু জানাননি নাসার গবেষকেরা। তবে তারা বলেছেন, সৌরমণ্ডলে পরিবেশের দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব খোঁজার ক্ষেত্রে নতুন আশা জাগিয়েছে এই প্রমাণ।

এ বিষয়ে নাসা ‘Mars misty solved’ শিরোনামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, মঙ্গলে পানির সন্ধান করা হচ্ছিল। পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানের উদ্দেশ্যে যে গবেষণা চলছে, এই অনুসন্ধান তারই অংশ। বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়ে বলা যায়, ধারণা আজ সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। এটা নিশ্চিত যে, মঙ্গলে প্রবাহমান পানি আছে, এখনো তা বইছে। আবহাওয়া মণ্ডল দুর্বল হলেও এখনো সক্রিয়। কেননা, মঙ্গলের হালকা বাতাসের অস্তিত্ব আছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেখানে এখনো পানি বরফ পর্যায় থেকে তরল কিংবা বাষ্পে পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। ২০১১ সালে প্রথম নাসার উপগ্রহ চিত্রে মঙ্গলে আরএসএল ধরা পড়ে; যা গ্রীষ্মকালে দেখা যায়, কিন্তু তাপমাত্রা কমলে মিলিয়ে যেতে শুরু করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলপৃষ্ঠে বিষুবীয় অঞ্চলের কয়েক স্থানে আরএসএলে’র ওই লবণ জমে একমাত্র পানির উপস্থিতিতে। নাসার পাঠানো কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গল পৃষ্ঠে তরল পানি খুঁজে পাওয়ার পর গবেষকেরা গ্রহটি যে একেবারেই ঠাণ্ডা ও শুষ্ক সে ধারণা থেকে সরে এসেছেন। গবেষণা সংস্থা এক্সপ্লোর মার্সের প্রধান নির্বাহী ক্রিস কারবেরি জানিয়েছেন, পানির সন্ধান পাওয়ায় ভবিষ্যতে নভোচারীদের পানি ও অক্সিজেনের উৎস হিসেবে তা কাজে লাগানো যেতে পারে। এখানে পানি থাকার অর্থ সেখানে তাপের কোনো উৎস রয়েছে যা পানিকে তরল করে রাখে। তিনি বলেন, যেহেতু সেখানে পানির অস্তিত্ব আছে, সেহেতু প্রাণের অস্তিত্বও ছিল কিংবা এখনো তা আছে।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test