E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে হকিংয়ের উদ্বেগ

২০১৬ জুন ৩০ ১২:০৩:৩৯
যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে হকিংয়ের উদ্বেগ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক :খ্যাতনামা পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মনে করেন, দূষণ ও নির্বোধ কাজই মানবজাতির জন্য সবচেয়ে হুমকির। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে স্টিফেন হকিং এসব মন্তব্য করেন। মার্কিন ‘ওরা টিভি’র ‘ল্যারি কিং নাউ’ শোতে তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে পরিবেশ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা কোনোভাবেই কম লোভী বা কম নির্বোধ হতে পারিনি।’

‘ছয় বছর আগে আমি, দূষণ ও জনাধিক্য নিয়ে সতর্ক করছিলাম। তারপর এ পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।’

স্টিফেন হকিং বলেন, আগেরবার সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ কোটি। এই হারে চলতে থাকলে ২১০০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে এক হাজার ১০০ কোটি। আর গত পাঁচ বছরে বায়ুদূষণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। বর্তমানে শহরাঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষই বায়ুদূষণের অনিরাপদ মাত্রার মধ্যে বাস করছে।

হকিং আরো বলেন, ‘বায়ুদূষণের পাশাপাশি পৃথিবীতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমন বাড়ছে। আমরা কি বৈশ্বিক উষ্ণতার বিপজ্জনক মাত্রা এড়ানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি দেরি করে ফেলব?’

এর আগে স্টারমাস বিজ্ঞান সম্মেলনে স্টিফেন হকিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে অস্ত্র নির্মাণে এর ব্যবহার নিয়ে তিনি শঙ্কার কথা জানান।

স্টিফেন হকিং বলেন, ‘মনে হচ্ছে অনেক দেশই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি দিয়ে বিমান ও অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। চিকিৎসা খাতের মতো মানবজাতির জন্য সরাসরি উপকারী প্রকল্পের অর্থায়নে কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে স্টিফেন হকিংয়ের। তিনি বলেন, যন্ত্র যখন নিজেরা নিজেদের নির্মাণ করার পর্যায়ে উন্নীত হবে, তখন তাদের লক্ষ্য আর আমাদের লক্ষ্য এক হবে কি না, তা আমরা কল্পনা করতে পারছি না।’



(ওএস/এস/জুন৩০,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test