E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৭৫-এ পা দিলেন স্টিফেন হকিং

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৫:২৬:২২
৭৫-এ পা দিলেন স্টিফেন হকিং

নিউজ ডেস্ক : বিশ্বের সেরা ও প্রখ্যাততম পদার্থবিদদের মধ্যে গণ্য করা যায় তাঁকে। দুরারোগ্য ব্যাধি সত্ত্বেও জ্ঞানবিজ্ঞানের জগতে যার অবাধ বিচরণ, সেই স্টিফেন হকিং পঁচাত্তরে পা দিয়েছেন।

 

স্টিফেন হকিং যখন বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বক্তৃতা দেন, হল ভরে যায় লোকে৷ অনেকের কাছে তিনি একালের সেরা পদার্থবিদ। তাঁর দৃষ্টান্ত থেকে বোঝা যায়, মানুষের মধ্যে কী অসম্ভব ক্ষমতা লুকনো থাকে।

৪০ বছর ধরে কেমব্রিজে গবেষণা করছেন তিনি। অতীব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্কশাস্ত্র অধ্যাপনার পদটি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

তাঁর অধীনে যারা ডক্টরেট করেছেন, তাদের অনেকেই সারা জীবনের জন্য হকিং-এর বন্ধু হয়ে গেছেন।

হ্যানোভার-এর মাক্স-প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাভিটেশনাল ফিজিক্স-এর প্রফেসর ব্রুস অ্যালেন বললেন, ‘‘আমার মনে হয়, উনি মাধ্যাকর্ষণ পদার্থবিদ্যার বৃহত্তম ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন – সফলভাবে৷ অনেকেই বড় বড় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন, কিন্তু খুব কম মানুষই তা-তে সফল হন।’’

হকিং-এর বৃহত্তম আবিষ্কার

একটি তত্ত্ব দিয়ে গোটা মহাশূন্যের ব্যাখ্যা করাটা একটা মহান কাজ৷ সেই অসীম ব্যাপ্তিতে হকিংক-কে যা বিশেষভাবে ভাবিয়েছে, তা হলো তথাকথিত ব্ল্যাক হোল। দশকের পর দশক গবেষণা করেছেন হকিং: ব্ল্যাক হোলে যে পদার্থ উধাও হয়, তা যায় কোথায়? সেই পদার্থের বিভিন্ন চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য কি যায় না বজায় থাকে? স্টিফেন হকিং বিভিন্ন উত্তর খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু কোনো চূড়ান্ত সমাধান খুঁজে পাননি। ব্ল্যাক হোলও যে বাষ্পের মতো উবে যেতে পারে, এটাই হলো হকিং-এর বৃহত্তম আবিষ্কার।

প্রফেসর ব্রুস অ্যালেন বললেন, ‘‘এক হাজার বছর পরেও ওটা একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকবে; দেখাবে যে, মাধ্যাকর্ষণ ও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের মধ্যে একটা সংযোগ আছে৷ একটি অতি সহজ কিন্তু বুনিয়াদী উপলব্ধি।''

সুপারম্যানের ক্ষমতা অসীম। স্টিফেন হকিং তাঁর পঙ্গু শরীরে আবদ্ধ হয়ে, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে জীবনধারণ করে চলেছেন গত ৫৪ বছর ধরে৷ এই ভাগ্য তিনি মেনে নিয়েছেন, মানিয়ে নিয়েছেন তাঁর রসবোধ দিয়ে। তাঁর পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব, তিনি তাই করেন: বিশিষ্ট মানুষ হিসেবে তিনি পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন।

২০০৭ সালে তাঁর স্বপ্ন সার্থক হয়। সুপারম্যানের মতো স্টিফেন হকিং- ও একটি প্যারাবোলিক ফ্লাইটে ভারহীন অবস্থায় বাতাসে ভাসতে পারেন। স্টারশিপ এন্টারপ্রাইজে স্টিফেন হকিং-কে নিউটন, অ্যান্ড্রয়েড ডাটা ও আইনস্টাইনের সঙ্গে এক টেবিলে বসে তাস খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। স্টিফেন হকিং প্রায় স্টার ট্রেক ফ্যানদের মতোই মজা পান।

প্রফেসর স্টিফেন হকিং-কে তাঁর ৭৫তম জন্মদিনে আমাদের হার্দিক শুভেচ্ছা।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test